|
|
|
|
বিধবা ভাতার বয়ঃসীমা কমাতে চলেছে কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আর ৪০ নয়, এ বার ১৮!
আর্থ সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অষ্টাদশী বিধবাদেরও এ বার ভাতা দেবে কেন্দ্র। গরিব ও দুঃস্থ বিধবাদের বয়স ৪০ হলে তবেই এখন ভাতা মেলে। কিন্তু যোজনা কমিশনের বক্তব্য, এই নিয়ম বৈষম্যমূলক। সাবালিকা হয়ে বিয়ের পরেই যাঁরা বিধবা হন, তাঁদেরও সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে। সেই সঙ্গে অবিবাহিতা মহিলা, স্বামী পরিত্যক্তা, বিবাহ-বিচ্ছিন্নাদেরও এই ভাতা দিতে হবে সরকারকে। মুদ্রাস্ফীতির হার বিবেচনা করে ভাতা প্রতি বছর বাড়ানোরও প্রস্তাব দিয়েছে যোজনা কমিশন।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, কমিশনের প্রস্তাব নীতিগত ভাবে মেনে নিচ্ছে সরকার। আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব পেশ হবে।
বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়ানোর ব্যাপারে অক্টোবরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকেই স্থির হয়, পিছিয়ে পড়া অংশের সুরক্ষায় একটি প্রস্তাব তৈরি করবে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। মন্ত্রক যোজনা কমিশনের সদস্য মিহির শাহের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে। ওই টাস্ক ফোর্স আজ চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে।
লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই কেন্দ্র বিধবা ভাতার বয়ঃসীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা রাজনীতির কারবারিদের। তাঁদের মতে, কৌশলগত ভাবে মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে পদক্ষেপ করছে কংগ্রেস। যাঁরা এ সব প্রকল্পের সুবিধা পাবেন তাঁরা তো বটেই, সামগ্রিক ভাবে মহিলাদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ম শিথিল করতে হবে। বর্তমানে শারীরিক ভাবে ৮০ শতাংশ অক্ষমদের এই ভাতা দেওয়া হয়। তা কমিয়ে ৪০ শতাংশ করার পরামর্শ দিয়েছে টাস্ক ফোর্স।
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জানান, নতুন নিয়মে উপভোক্তাসংখ্যা বাড়বে। এখন ৩ কোটি মহিলা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পান।
বিধবা ভাতা বাবদ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মাথাপিছু ৩০০ টাকা দিলেও অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণের কিছু রাজ্য কেন্দ্রের তিন-চার গুণ টাকা ভাতা হিসাবে দেয়। কেন্দ্রের টাকা-সহ অন্ধ্রপ্রদেশে বিধবা ভাতার পরিমাণ প্রায় ১২০০ টাকা। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার-সহ কিছু রাজ্য বিধবা ভাতার টাকা দিতে দেরি করে। কিন্তু তা বন্ধ করতে এ বার কেন্দ্র ব্যবস্থা নিতে চলেছে। |
|
|
|
|
|