আদালতে বললেন, মরতে চাই না
আত্মহত্যার চেষ্টার চার্জ গঠন হল চানুর বিরুদ্ধে
র পাঁচ জনের মতোই স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে চান তিনি। তাঁর কথায়, “আমি জীবন ভালবাসি। মরতে চাই না।
শান্তি ও ন্যায়ের সঙ্গে মানুষের মতো বাঁচতে চাই।”
তবু ২০০০ থেকে অনশনের অপরাধে ইরম শর্মিলা চানুর বিরুদ্ধে আজ আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগে চার্জ গঠন করল দিল্লির একটি আদালত। পাটিয়ালা হাউস আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আকাশ জৈনের এজলাসে তাঁকে অনশন তুলে নিতে বলা হয়। বিচারক বলেন, “আমি আপনাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু, দেশের আইন এই ভাবে অনাহারে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়া সমর্থন করে না।” তবে ৪০ বছরের শর্মিলা চানু স্পষ্ট জানান, মণিপুর থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা না হলে আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন তিনি। আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে আদালতকে জানান, তিনি আত্মহত্যা করতে চান না। তবে অনশনের মাধ্যমেই অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তিনি। এর পর জৈন, অনশনের সিদ্ধান্তে অনড় চানুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারায় চার্জ গঠন করার নির্দেশ দেন। বিচারকের নির্দেশ, দিল্লির যন্তর মন্তরে, ২০০৬ সালের ৪ অক্টোবর যে অনশন শুরু করেছিলেন চানু তার নথিপত্র, প্রমাণসহ ২২ মে পরবর্তী শুনানি হবে। চানুর শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে তাঁর আইনজীবী আদালতে আবেদন জানান, নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার জন্য যাতে তাঁকে না ডাকা হয়।
আদালতের পথে ইরম শর্মিলা চানু। সোমবার দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই
চানুকে নিয়ে গত কাল থেকেই উত্তাল দিল্লি। এ দিনও, আদালতের বাইরে, চানুর বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা তোলার দাবি জানিয়ে মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
২০০০-এর ২ নভেম্বর, ইম্ফল বিমানবন্দরের কাছে মালোম গ্রামের বাসস্ট্যান্ডে ১০ জন গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে আসাম রাইফেলসের জওয়ানেরা। সেই বছর ৪ অক্টোবর থেকেই সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন শুরু করেন শর্মিলা চানু। ২০০৬ সালে, দিল্লিতে যন্তর-মন্তরের সামনের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে দিল্লির এইমস ও আরএমএল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন চানু। ২০০৭ সালের মে মাসে, দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামিনী লউ তাঁকে অনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানালেও চানু রাজি হননি। সে বার আদালত তাঁকে ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয়। সেই বছরই তিনি ইম্ফল ফেরেন। তবে ইম্ফলে এখনও জেল হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। এই ক’বছর ধরে বন্দি চানুর ঠিকানা জওহরলাল নেহরু হাসপাতাল। প্রতি মাসে নিয়ম করে সেখান থেকেই স্থানীয় আদালতে হাজিরা দিতে হয় তাঁকে। ইতিমধ্যে ‘আফস্পা’ তুলে দেওয়ার জন্য বিচারক জীবন রেড্ডি এবং বীরাপ্পা মইলির নেতৃত্বে প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি রিপোর্ট পেশ করলেও মণিপুরে এখনও বহাল রয়েছে সেই আইন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.