হায়দরাবাদ বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে ধৃত যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
হায়দরাবাদের দিলসুখ নগরের জোড়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রাঁচি থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। ধৃতের নাম মনজর ইমাম বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাঁচির পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে রবিবার রাতে কাঁকে রোড থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান রাঁচির সিনিয়র পুলিশ সুপার সাকেতকুমার সিংহ।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের দিলসুখ নগরের জোড়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। একশোরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন ওই ঘটনায়। মনজরই প্রথম যাঁকে দিলসুখ নগরের ওই জোড়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও মনজর নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন তার পরিবারের লোকজন। মনজরকে গ্রেফতার করার কথা আজ সকালে রাঁচি পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে স্বীকার করা হয়। রাঁচির পুলিশ সুপার বিপুল শুক্ল জানান, হায়দরাবাদের ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন সন্দেহেই মনজরকে এনআইএ গ্রেফতার করেছে। এনআইএ-এর তরফে অবশ্য এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। রাঁচি পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে কাঁকে রোড দিয়ে বাইকে চড়ে বরিয়াতুতে নিজের বাড়িতে ফিরছিল মনজর। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়।
|
|
মনজর ইমাম। রাঁচির আদালতে তোলা হচ্ছে হায়দরাবাদ বিস্ফোরণে অভিযুক্ত মনজর ইমাম। সোমবার। |
পুলিশ জানায়, মনজরকে ২০০৮ সালের পর থেকে দেশের একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে খুঁজছিল এনআইএ। ২০০৮ সালে আমদাবাদ বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই তাঁর খোঁজ শুরু হয়। রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উর্দুতে সোনার পদক নিয়ে পাশ করা মনজর জঙ্গি সংগঠন সিমি-র সক্রিয় কর্মী বলেই দাবি পুলিশের। কেরলে সে সিমি-র প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিল বলে এরনাকুলামের একটি থানায় তার নাম এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে তার
নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ২০১১ সালে হায়দরাবাদেও বিস্ফোরণে অনেকে মারা গিয়েছিলেন। তখনও রাঁচিতে গিয়ে মনজরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনআইএ-র অফিসাররা। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তখন তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, দিলসুখ নগর বিস্ফোরণের সময় সে হায়দরাবাদে ছিল। এমনকী বিস্ফোরণের আগে সে হায়দরাবাদে অনেকবার যাতায়াত করেছে বলেও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। মনজরকে গ্রেফতার করার পরে তাকে এনআইএ আজ রাঁচির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে। তাকে এরনাকুলামে নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য পাঁচ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর আজ দুপুরেই মনজরকে নিয়ে এরনাকুলাম রওনা দেয় এনআইএ। |
ছবি: মুন্না কামদা |
|