কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক রামপুরহাটে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
ময়ূরাক্ষী উত্তর ক্যানালের রামপুরহাট মহকুমা দফতরে চতুর্থ শ্রেণির পদে ৩৩ জনের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। ওই নিয়োগের পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। অভিযোগ, যথাযথ বিজ্ঞপ্তি জারি বা পরীক্ষা না নিয়েই চুক্তির ভিত্তিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে ওই নিয়োগ করা হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দফতরের রামপুরহাট মহকুমা কার্যালয়ে ৩৩ জন নিয়োগপত্র নিয়ে আসেন। তাঁরা কাজেও যোগ দিয়েছেন। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির রামপুরহাট মহকুমার সম্পাদক তাপস গুপ্তের অভিযোগ, “যত দূর খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই সব কর্মীদের কোনও পরীক্ষা না নিয়েই নিয়োগ করা হয়েছে। এক বছরের চুক্তিতে মাসিক ৬,৬০০ টাকার ভিত্তিতে তাঁদের সরাসরি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, “পরীক্ষা-ব্যবস্থার মাধ্যমে ওই নিয়োগ হলে সবাই সমান সুযোগ পেতেন। তা না হলে স্বজনপোষণের একটা সম্ভাবনা তো থেকেই যায়।” বিষয়টি তিনি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ পেলে তাঁরা এমন ভাবে নিয়োগের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামবেন বলেও জানিয়েছেন। নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি সেচ দফতরের রামপুরহাট মহকুমা নির্বাহী বাস্তুকার তরুণ রায়চৌধুরী। তাঁর জবাব, “এ ব্যাপারে যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষ বলবেন।” সম্প্রতি রায়গঞ্জে ও বর্ধমানে চুক্তির ভিত্তিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখিয়েছিল ডিওয়াইএফ। রাজ্য সরকারের এক মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছিলেন, “রাজ্য সরকার যে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক করেছে, তা থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে ৩০০০ জনকে নিয়োগ করা হবে।” |
ওড়িয়া বিভাগের নতুন উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
ওড়িশা ও রবীন্দ্রনাথ নিয়ে এক গবেষণামূলক কাজ করতে চলেছে বিশ্বভারতীর ওড়িয়া বিভাগ। বিভাগের উদ্যোগে ওড়িশা ও ঠাকুরবাড়ি বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কোনও বই হতে চলেছে। ‘ভারতীয় সাহিত্যে গীতাঞ্জলির প্রভাব’ শীর্ষক সদ্য শেষ হওয়া দু’ দিনের আলোচনাচক্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওড়িয়া বিভাগের প্রধান তথা আলোচনাচক্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা সবিতা প্রধান বলেন, “১৭৬৫ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সঙ্গে ওড়িশার সম্পর্ক এবং পরবর্তী পর্যায়ে নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি গবেষণামূলক কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া ওই বিষয় নিয়ে নানা তথ্য সঙ্কলনের মধ্য দিয়ে একটি গ্রন্থও প্রকাশিত হবে।” সেই ১৭৬৫ সালে জমি-জমা সংক্রান্ত কাজের সূত্রে অধুনা বাংলাদেশের যশোহরের বাসিন্দা কুশারি পরিবারের নীলমনি ঠাকুরের সঙ্গে ওড়িশার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সময় থেকে ওড়িশায় রবীন্দ্রনাথের শেষ যাত্রা (১৯৩৯) পর্যন্ত ঠাকুর পরিবারের কর্মকাণ্ডের ইতিহাস স্থান পাবে এই গ্রন্থে। উদ্যোক্তারা জানান, শুধু ওড়িশা ও রবীন্দ্রনাথের সম্পর্কই নয়, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সৃষ্টিও ওড়িয়া ভাষাভাষীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। আলোচনাসভায় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে যোদ দেওয়া সাহিত্যিকেরা রবীন্দ্র-সৃষ্টিকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের জোরাল দাবি তোলেন। রবীন্দ্রভবনের অধিকর্তা তপতি মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক উদয় নারায়ণ সিংহ, আধ্যাপক মনোরঞ্জন প্রধান, অধ্যাপক চন্দ্র প্রকাশ দেভাল-সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন ওই আলোচনায়। |
সদাইপুরে বোমা ফেটে মৃত্যু শিশুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • সদাইপুর |
বোমা ফেটে মৃত্যু হল বছর তিনেকের এক শিশুকন্যার। সদাইপুর থানা এলাকার তিলেডাঙাল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে রবিবার দুপুরে। রেশমা খাতুন নামে ওই শিশুটির বাড়ি ওই গ্রামেই। পুলিশ জানায়, বাড়ির উঠোনে খেলতে খেলতে হঠাৎ একটি বোমা ফেটে মারাত্মক জখম হয়েছিল রেশমা। প্রথমে তাকে সিউড়ি সদর হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার রাতে সে মারা যায়। শিশুটির মা হামিদা বিবির দাবি, দুপুরে বাড়ির উঠোনে তাঁর মেয়ে যখন খেলা করছিল তখন তিনি কাছাকাছি বসে কাপড়ে কাঁথাস্টিচের কাজ করছিলেন। সেই সময় বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে একটি মোটরবাইকে চেপে যেতে যেতে দু’জন মুখ ঢাকা আরোহী তাঁদের বাড়ির উঠানে একটি বোমা ছোড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বোমাটি ফেটে গিয়ে জখম হয়েছিল রেশমা। বোমায় হাত উড়ে গিয়েছিল তার। তবে কে বা কারা এ কাজ করেছে সেটা তিনি বুঝতে পরেননি বলে দাবি করেছেন। মৃত শিশুর পরিবারের তরফে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও আভিযোগ না হলেও পুলিশ নিজেই একটি মামলা রুজু করা করেছে। প্রথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বোমাটিকে বল ভেবে খেলতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু বোমাটি কী ভাবে শিশুটির নাগালে এল সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। |
ধৃত তিন দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
দু’টি পৃথক চুরির ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা আন্তঃরাজ্য গাড়ি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের দাবি। ধৃতেরা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার কামদেবপুর গ্রামের সাবির মণ্ডল, বর্ধমানের রানিগঞ্জের চন্দন বর্মন ও পান্ডবেশ্বরের সুরজ রজক। ১ মার্চ রাতে রামপুরহাট থানার হস্তিদাঁদা গ্রামের কাছে ওই থানার পাকরান্দি গ্রামের বাসিন্দার বাইক আটকায় চার দুষ্কৃতী। বাইক নিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া থানা এলাকায় এক জনকে ধরে ফেলেন বাসিন্দারা। রবিবার রাতে সাবির মণ্ডল নামে ওই দুষ্কৃতীকে বাইক-সহ রামপুরহাট থানায় নিয়ে আসা হয়। অন্য দিকে, শনিবার রাতে রামপুরহাট হাসপাতাল পাড়া এলাকায় একটি ওষুধের দোকানের সামনে থেকে গাড়ি চুরি করে পালাতে গিয়ে দুর্গাপুরে দুর্ঘটনায় পড়ে চন্দন বর্মন ও সুরজ রজক। পরে পুলিশ গাড়িটিকে উদ্ধার করে ও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। |
শ্লীলতাহানি, মিলল না জামিন
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
শ্লীলতাহানির ঘটনায় ধৃতদের জামিন দেওয়ার আবেদন করলেন খোদ অভিযোগকারিণীই। কিন্তু বিচারক সেই আবেদন খারিজ করে ধৃতদের ফের জেল হাজতে পাঠালেন। সোমবার রামপুরহাটের এসিজেএম আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক অর্ণব মজুমদার এই নির্দেশ শোনান। সরকারি আইনজীবী ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, সম্প্রতি রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে এক হাসপাতাল কর্মীর মেয়েকে শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ তিন যুবককে গ্রেফতারও করে। ফজলুরবাবু বলেন, “এ দিন ওই অভিযোগকারিণী তরুণী আদালতের কাছে আবেদন করে জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তিনি আর কোনও মামলা লড়তে চান না। স্থানীয় স্তরে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ায় তিনি ওই যুবকদের জামিন দেওয়ার আবেদন করেন।” কিন্তু মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় বিচারক ধৃত তিন যুবকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে সাত দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন বলে তিনি জানিয়েছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ওই তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। পাঁচ জন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। |
অবশেষে সেতুর দাবি মিটতে চলেছে মাড়গ্রাম থানার দুনিগ্রামের ভাঙলায়। ভাঙলা কাঁদর এলাকার ৬টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার বাসিন্দা ২০০৪ সাল থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন। ২০১২ সালের ১৯ মার্চ বাসিন্দারা রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেছিলেন। পাঁচ দিন পরে জেলাশাসকের কাছ থেকে সেতু তৈরির আশ্বাস পেয়ে তাঁরা অনশন তুলে নেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেতু তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। |
ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত বিচার চাওয়া ওপার বাংলার মানুষের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াল শান্তিনিকেতনও। সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের উদ্যোগে হওয়া এই মিছিলে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। শান্তিনিকেতনের ফার্স্ট গেট থেকে শুরু হয়ে র্যালি পৌঁছয় বোলপুর শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে। শান্তির পক্ষে হওয়া মিছিলে যোগদানকারীদের গাইলেন ‘আমরা করব জয়’। |