রাতে আগুন লেগে পুড়ে গেল দু’টি স্কুল বাস। সকালে আবার উড়ো ফোন আসায় স্কুল চত্বরে ছড়িয়ে পড়ল বোমাতঙ্ক। পরে অবশ্য বম্ব স্কোয়াডের সদস্য এবং পুলিশ কুকুর নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি চালায়। কোনও বোমা মেলেনি। সোমবার কালনা ১ ব্লকের বুলবুলিতলা শিশু নিকেতন স্কুলে ঘটনাটি ঘটে।
১৯৮৯ সালে স্থাপিত এই স্কুলে নার্সারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫৬০ জন। এর মধ্যে অনেকেই স্কুল বাসে যাতায়াত করে। ছুটির দিনে স্কুলের চারটে বাস স্থানীয় সালাম শেখের গ্যারেজে রাখা থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রবিবার মাঝ রাতে আচমকা গ্যারেজের দু’দিকে রাখা বাসদু’টি থেকে আগুন বেরোতে দেখা যায়। |
খবর পেয়ে কালনা দমকল কেন্দ্র থেকে কর্মীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। রক্ষা পায় ট্রাক্টর, মোটরভ্যান-সহ গ্যারেজে রাখা আরও অনেক জিনিসপত্র।
পরে সোমবার সকালে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসার পরে। ৮টা ১৫ নাগাদ স্কুলের এক কর্মী সুবীর বিশ্বাসের কাছে একটি উড়ো ফোন আসে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি। ফোনে বলা হয়, স্কুল চত্বরে বোমা রাখা আছে। সাড়ে আটটা নাগাদ বিস্ফোরণ হবে বলেও জানানো হয়। এরপরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্কুলে। স্কুল ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার এবং ওসি অমিত মিত্র। কুকুর এনে স্কুল ঘরগুলি তল্লাশিও করা হয়। তবে কোথাও বোমার সন্ধান পায়নি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাস দু’টিতে ইচ্ছাকৃত ভাবে আগুন লাগানো হয়েছে। উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য বোমাতঙ্কের ভুয়ো খবর দেওয়া হয় বলেও পুলিশ জানায়। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।” এই ঘটনার জন্য আবার সিপিএমের দিকে আঙুল তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ইনসান শেখ, সুকুর শেখদের বক্তব্য, “এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে সিপিএম পরিকল্পনা করে ঘটনাদু’টি ঘটিয়েছে।” সিপিএম অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |