পুরসভা অনুমোদিত রিকশার সংখ্যা ৩ হাজার। অথচ প্রতিদিন শহরে চলে অন্তত ছয় হাজার রিকশা। গত একমাস ধরে চলতে থাকা ওই পরিস্থিতিতে রায়গঞ্জ শহরে তীব্র যানজটের মুখে পড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। শুধু যানজটই নয়। বেআইনি রিকশার দাপটে শহরে বেড়ছে দুর্ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, পুরসভা ব্যবস্থা না নেওয়া শহর সংলগ্ন এলাকা থেকে শহরে রিকশা ঢুকে পড়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাস বলেন, “কয়েক মাস আগে বেআইনি রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। প্রশাসনিক কারণে কিছুদিন অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্র ফের অভিযান শুরু হবে।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রায়গঞ্জ পুর এলাকা সংলগ্ন মাড়াইকুড়া, গৌরী, বীরঘই, বাহিন ও কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরে বেআইনি রিকশা ঢুকছে। রিকশাগুলি পঞ্চায়েত এলাকায় চলাচল করার কথা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেআইনি রিকশার দাপটে দিনভর শহরের মোহনবাটি, সুপার মার্কেট, বিদ্রোহী মোড়, পুর বাসস্ট্যান্ড মোড়, শনিমন্দির, শিলিগুড়ি মোড়, বীরনগর, হাসপাতাল মোড়, কসবা মোড় এলাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গত এক মাসে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১০টির বেশি রিকশা উল্টে যাত্রীরা জখম হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিদিন রিকশার সঙ্গে বাইক, বাস ও অটো রিকশার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। স্কুল ও অফিস টাইমে যানজটের জেরে বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। রিকশা ও ভ্যানচালক ইউনিয়ন জেলা সম্পাদক তথা সিপিএমের রায়গঞ্জ লোকাল কমিটির সম্পাদক নীলকমল সাহা বলেন, “পুরসভার অনিয়মিত অভিযানে বেআইনি রিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাসিন্দাদের স্বার্থে বেআইনি রিকশা বন্ধ হোক।” তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য জানান, রিকশার দাপটে শহরে যানজট ও দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় বাসিন্দারা সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। পুর কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে অভিযানে নামা উচিত। |