আশঙ্কায় টম্যাটো চাষি
ফলনে দেরি হওয়ায় কম দাম মিলবে
লদিবাড়ি: টমেটোর ফলনে এ বার হলদিবাড়ি পিছিয়ে। প্রথম পর্যায়ে আমদানি কম হওয়ায় কৃষক দাম পাচ্ছেন না। আবার এক মাস বাদে ফলন পুরোপুরি ওঠা শুরু হলে দাম কমে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় ভুগছেন চাষিরা। কৃষি দফতর সূত্রের খবর, গত বছর বর্ষা দেরিতে বিদায় নেওয়ায় ও এই বছর শীতের প্রকোপে হলদিবাড়িতে টম্যাটোর ফলন তিন সপ্তাহ থেকে এক মাস পিছিয়েছে। জানুয়ারিতে যে টম্যাটো ওঠার কথা সেই টম্যাটো উঠেছে ফেব্রুয়ারিতে।
চাষিরা জানাচ্ছেন, ফলনের প্রথম পর্যায়ে টম্যাটোর জোগান কম থাকায় দাম বেশি থাকে। কিন্তু এ বার সেই তুলনায় দাম কম। বুধবার হলদিবাড়ি পাইকারি সব্জি বাজারে টম্যাটো বিক্রি হয়েছে ছয় টাকা কিলো দরে। গত বছর এই প্রথম পর্যায়ের টম্যাটো উঠেছিল জানুয়ারি মাসে। দাম ছিল প্রতি কিলো ১২-১৫ টাকা। এবার প্রথম পর্যায়ের টম্যাটো এক মাস দেরিতে ওঠায় গত বছরের তুলনায় দাম কম উঠছে। হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বৈকুণ্ঠনাথ রায় বলেন, “এখন কম টম্যাটো উঠলেও চাষি আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না। তিন সপ্তাহ বাদে ভরা মরসুমের টম্যাটো উঠবে। তখন দাম আরও কমলে সমস্যায় পড়বে কৃষক।”
হলদিবাড়ি পাইকারি সব্জি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তরুণ দত্ত বলেন, “হলদিবাড়ি টম্যাটোর বাজার উত্তর ভারতের বাজার ও আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল। উত্তর ভারতে চাহিদা থাকলে এবং গরম না পড়লে টম্যাটোর বাজার ভাল থাকবে।” পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ভারতে হলদিবাড়ির টম্যাটোর বাজার আছে। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি ও পঞ্জাবে টম্যাটো যাচ্ছে। চাষিরা জানান, এক মাস বাদে সমগ্র উত্তর ভারতে পুরোপুরি গরম পড়ে যাবে। তখন টম্যাটো পাঠানোয় সমস্যা হবে। অত্যাধিক গরমে টমেটো পচে যায়। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত উত্তর ভারতে এবং অন্য জায়গায় হলদিবাড়ি থেকে টম্যাটো যায়। গরম পড়ে গেলে ও সব জায়গায় টমেটো পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। হলদিবাড়িতে এ বছর ১২০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। হলদিবাড়ি ব্লক কৃষি আধিকারিক সঞ্জীব মৈত্র বলেন, “মরসুম তিন সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ায় টম্যাটো চাষে তার প্রতিফলন ঘটেছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.