|
|
|
|
টাকা আদায়ে আধিকারিক অপহরণ ঠিকা শ্রমিকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
মালিকের কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায় করতে হলদিয়ার সিইএসসি বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকা সংস্থার এক আধিকারিককে অপহরণ করেছিলেন শ্রমিকেরা। শনিবার রাতে মালদহ থেকে পুলিশ উদ্ধার করল দুষ্মন্ত প্রধান নামে ওই আধিকারিককে। তবে, অপহরণকারীদের ধরা যায়নি। প্রকল্প এলাকায় কর্মরত ৩২ জন ঠিকাশ্রমিকই পলাতক।
হলদিয়ায় সিইএসসি-র বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কুকড়াহাটি থেকে জয়নগর পর্যন্ত টাওয়ার বসানোর কাজ করছে আইভিআরসিএল নামে হায়দরাবাদের ওই ঠিকাদার সংস্থাটি। ৩২ জন শ্রমিকের একটি দলের কাজ শেষ হয়ে যায় ডিসেম্বরে। নতুন একটি দল কাজে লাগে ওই মাস থেকেই। পুরনো ও নতুন শ্রমিকদের সঙ্গে দেনা-পাওনা নিয়ে ঠিকাসংস্থার গণ্ডগোল চলছিল। অভিযোগ, ক্ষিপ্ত শ্রমিকেরাই টাকা আদায় করার উদ্দেশ্যে ২৭ ফেব্রুয়ারি, গত বুধবার ওই ঠিকাসংস্থার সুপারভাইজার দুষ্মন্ত প্রধানকে অপহরণ করেন। আদতে ওড়িশার কটকের বাসিন্দা দুষ্মন্তবাবু শ্রীকৃষ্ণপুরের একটি মেসে থাকেন। তিনি বলেন, “প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের পর ওই দিন এক শ্রমিকের মোটর সাইকেলে চেপে সুতাহাটা বাজারে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার সময় নন্দরামপুরে আমাকে নামিয়ে দেয়। এরপরেই জনা সাতেক শ্রমিক একটি গাড়িতে জোর করে আমাকে তুলে নেন। হোড়খালি, জয়নগরে আরও কয়েকজন শ্রমিক ওই গাড়িতে ওঠেন।”
পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে তাপস পাল নামে ওই প্রকল্প এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে ফোন করে শ্রমিকেরা হুমকি দেন, বকেয়া টাকা না মেটানো পর্যন্ত ছাড়া হবে না দুষ্মন্তবাবুকে। তাপসবাবু সঙ্গে-সঙ্গে থানায় বিষয়টি জানান। পুরনো শ্রমিক রিঙ্কু মিঞা ও নতুন শ্রমিক শেখ জাভেদ, আতিকুর রহমানের নামে লিখিত ভাবে অপহরণের অভিযোগ করেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শ্রমিকদের পুরো দলটাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। মোবাইলের টাওয়ার সূত্র ধরে জানা যায় মালদহে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দুষ্মন্তবাবুকে। মোবাইলের সূত্র ধরেই শনিবার রাতে মালদহের একটি বস্তি থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
তাপসবাবু বলেন, “শ্রমিকেরা পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। আমরা আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা যে ভাবে ওই আধিকারিককে অপহরণ করে ৯ লক্ষ চাইল, তা মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের শাস্তি চাই।” পলাতক শ্রমিকদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|