আদালতের স্থগিতাদেশ থাকা সত্বেও ইসিএলের জমিতে নির্মাণকাজের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইসিএলের নিঘা ওয়াটার ফিল্টার পাম্পের কাছে ঘটনাটি ঘটে। কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের ওয়াটার ফিল্টার প্রজেক্টের নর্দমার কিছু অংশ ভরাট করেই নির্মাণ কাজ হচ্ছে। তৃণমূলের নাম করে বিকাশ নুনিয়া, রামপুকার দুসাদ ও মহম্মদ নজরুল চার মাস আগে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ শুরু করে।
গত বছরের নভেম্বরে ইসিএল কর্তৃপক্ষ ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ করার স্থগিতাদেশ চেয়ে আর্জি জানান আদালতে। আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। কাজও বন্ধ ছিল। অভিযোগ, আবার দিন দুয়েক আগে তা শুরু হয়েছে। পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কাউকে দেখতে পাননি। জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়ির ওসি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইসিএলের জমিতে ওই নির্মাণকাজ করা যাবে না, একথাও অভিযুক্তদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তৃণমূলের জামুড়িয়া ব্লক ১ কমিটির সভাপতি পূর্ণশশী রায়ের বক্তব্য, কংগ্রেস ইসিএলের জমিতে একটি কার্যালয় তৈরি করলেও তাতে ইসিএল কোনও আপত্তি জানায়নি। কিন্তু তৃণমূলের ক্ষেত্রেই বাধা দিচ্ছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ইসিএলের সিএমডি কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।” তবে জামুড়িয়ার যুব কংগ্রেস সভাপতি সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “শ্রমিক সংগঠনগুলির এরকম কার্যালয় ইসিএলের জমিতে থেকেই থাকে।” পূর্ণশশীবাবু বলেন, “আমরা দলীয় কর্মীদের সংযত থাকতে বলেছি। নীচুতলার কর্মীরা আবেগতাড়িত হয়ে এমন কাজ করছে। দলীয় স্তরে তাদের নিষেধ করা হয়েছে।” |