জেনকিন্স স্কুলে শিক্ষকদের একাংশের মদের আসর বসানোর ঘটনা খতিয়ে দেখতে মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল কোচবিহার জেলা প্রশাসন। কোচবিহার (সদর) মহকুমাশাসক ছাড়াও ওই কমিটিতে রয়েছেন জেনকিন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক কার্তিক পাত্র ও সহকারী প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত বাজপেয়ী। সোমবার থেকে ওই কমিটি তদন্ত শুরু করবে। কোচবিহারের জেলাশাসক বলেন, “সোমবার কমিটি তদন্ত শুরু করবে। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।” বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের টিচার্স রুমে মদের আসর বসানোর অভিযোগ স্কুলের শিক্ষক তথা তৃণমূল প্রভাবিত সরকারী স্কুল শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বিজন সাহা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবারই অবশ্য ব্যক্তিগত জামিনে তাঁরা ছাড়া পেয়ে যান। তবে বিজনবাবুর সঙ্গে তৃণমূলের ওই সংগঠনের যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল গভমেন্ট স্কুল টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা মনোজ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, “বিজনবাবুকে ২০১০ সালে সংগঠন বিরোধী কাজের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।” এ দিকে, প্রদেশ কংগ্রসের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া কোচবিহারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে কোচবিহারে গিয়ে ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দেড়শো বছরের প্রাচীন স্কুলের ভেতর শিক্ষকরা অনুষ্ঠান করে মদ্যপানে অভিযুক্ত হয়েছেন দেখেও পুলিশ তাঁদের ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়ল। শাসক দলের মদত না থাকলে এটা সম্ভব!” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। |