নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম শেষ হয়ে গেলে কী হবে, বাংলার ব্যাটিং যেখানে ছিল, সেখানেই রয়ে গেল। আইসিইউ-তে। ফলে বিজয় হাজারে ট্রফি ধরে রাখতে পারলেন না লক্ষ্মী, মনোজ, ঋদ্ধিরা।
ফাইনালে ওঠার পথেই হোঁচট। দিল্লির বোলারদের বিরুদ্ধে হুড়মুড় করে ধস নামল বাংলার ব্যাটিংয়ে। মনোজ তিওয়ারির ৮৭ ও লক্ষ্মীরতন শুক্লর ৩০ ছাড়া স্কোরবোর্ডে কোনও ব্যাটসম্যানের নামের পাশে দুই সংখ্যার রান নেই। বাংলা ১৫৬ রানেই শেষ। এমন রান তাড়া করতে নেমে গৌতম গম্ভীর, উন্মুক্ত চন্দরা ঘাবড়ে যাবেন কেন? গম্ভীরের চেষ্টাতেই বাংলাকে অনায়াসে (মাত্র ৩৪.৩ ওভারে) টপকে ফাইনালে পৌঁছে গেল দিল্লি। ৭৮ বলে ৬৯ রান কেকেআর অধিনায়কের। বাকিরা তাঁকে শুধু উল্টোদিক থেকে মদত জুগিয়ে গেলেন। সারা মরসুম জুড়েই লড়াই করে যাওয়া বাংলার বোলাররা তাও এর মধ্যে দিল্লির চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা আর কত লড়বেন?
রাতে বিশাখাপত্তনম থেকে ফোনে বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মী বলছিলেন, “বোলারদের ওপর আর কত নির্ভর করা যাবে। ব্যাটসম্যানরা গোটা মরসুমে নিজেদের ভুল শোধরাতে পারল না, তো আর কাকে কী বলব? খুবই হতাশাজনক ব্যাপারটা।” বাংলার হতাশা বাড়িয়ে তুলতে পারে অসমের সাফল্য। লক্ষ্মীরা যখন এক মাঠে রীতিমতো খাবি খাচ্ছেন, তখন কেরলকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের রাস্তা পরিষ্কার করছে অসম। গোকুল শর্মা তিন উইকেট নেওয়ার পর ৫১ রানের ইনিংসও খেললেন। |