সৌমিত্র কুণ্ডু ও সংগ্রাম সিংহ রায় • শিলিগুড়ি |
দল বিধ্বংসী ফর্মে। তবু আইএফ এ শিল্ডের উদ্বোধনী ম্যাচে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে লাল-হলুদ কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ! না, পৈলান অ্যারোজের বিরুদ্ধে রবিবারের মাঠের লড়াই নয়। মর্গ্যান ভয় পাচ্ছেন ক্লান্তিকে। শিল্ডের যা সূচি, তাতে ছ’দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে। চিডি, পেনদের নিয়ে এ দিন ঘন্টা দু’য়েক অনুশীলন সেরে ওঠার পর কোচের কথায় ধরা পড়ল সেই উদ্বেগটা। বললেন, “প্রথম ম্যাচের পর পরের ৫ দিনে আরও ২টি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই ক’দিনেই ৩টি ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের। সেটাই চিন্তার।”
আইলিগ থেকে কলকাতা লিগ, এএফসি কাপ। তার মধ্যে শিল্ডের খেলা। একে ঠাসা সূচি, তায় জাতীয় শিবির থাকায় মেহতাব, রাজু, রবিন সিংহদের ছাড়তে হয়েছে। অর্নবের চোট। মর্গ্যান অবশ্য বললেন, “লালরিন্দিকা, সঞ্জু দারুণ ফর্মে আছে। তা ছাড়া এই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামেই ফেডারেশন কাপ জিতেছি আমরা।” তবে মাঠকে পয়া বলতে রাজি নন। বললেন, “ফুটবলে পয়া বলে কিছু নেই। ভাল খেলতে হবে।” পৈলানের বিরুদ্ধে যে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই, সেটা মনে করিয়ে বললেন, “পৈলানকে এর আগে আমরা সহজে হারালেও এখন ওদের দলে অনেক তরুণ প্রতিভা। তাই ম্যাচটাকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছি।” মাঠ নিয়ে শুধু একটা ব্যাপার খচখচ করছে লাল-হলুদ কোচের মনে। মাঠের মাঝের ক্রিকেট পিচটা। ফেডারেশন কাপের সময় বৃষ্টিতে জায়গাটা কাদা হয়ে থাকত। এখন কাদাটা নেই তবে জায়গাটা ঘাসহীন আর মাটি ভীষণ শক্ত হয়ে আছে।
এ দিকে, বাংলাদেশের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ দল আসতে না পারায় তাদের বদলে টুর্নামেন্টে কোন দল খেলবে তা এখনও ঠিক হয়নি। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “বদলি দল নিয়ে আলোচনা চলছে। রবিবার দুপুরের মধ্যেই সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে।” |