নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভারত-২ (জুয়েল, রবিন)
চিনা তাইপেই-১ (তাই লিন) |
একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম ম্যাচের নায়ক রবিন সিংহ। তাঁর গোলেই এ দিন চিনা তাইপেইকে ২-১ গোলে হারাল উইম কোভারম্যান্সের ভারত।
ক্লাব দলে নিয়মিত সুযোগ পান না রবিন। জাতীয় দলেও বেশির ভাগ সময়ে বসে থাকতে হয় রিজার্ভ বেঞ্চে। প্রথম একাদশে খেলতে না পারার যন্ত্রণাটা যেন এ দিন লাভা হয়ে বেরিয়ে এসেছে ইয়াঙ্গনের মাঠে। ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিট বাকি থাকতে জুয়েল রাজার পরিবর্তে নামানো হয় তাঁকে। নেমেই বাজিমাত। উচ্ছ্বসিত কোচ কোভারম্যান্সও এ দিন রবিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বললেন, “চাপের মধ্যে ও স্কোর না করলে আমরা জিততে পারতাম না।”
ম্যাচের শুরু থেকে কিন্তু আক্রমণে যায়নি ভারত। ফুটবলারদের কাছে কোচের নির্দেশই ছিল, ‘রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাও।’ সে জন্য সুনীল ছেত্রীকে একা স্ট্রাইকারে রেখে মাঝমাঠ আর রক্ষণকে শক্তিশালী করেছিলেন জাতীয় দলের ডাচ কোচ। বিরতির আগে কোচের স্ট্র্যাটেজি একশো শতাংশ সফল। |
জেজে ও রবিন। ইয়াঙ্গনের দুই গোলদাতা। |
প্রথমার্ধের শেষের দিকে ভারতকে এগিয়েও দেন জুয়েল রাজা। কিন্তু বিরতির পর পাল্টা আক্রমণে গিয়ে লিনের গোলে সমতা ফেরায় চিনা তাইপেই। এর পর অবশ্য বেশ কিছু ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন সুনীলরা। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি।
গোলের সুযোগ নষ্ট করার বিষয়টাকে অবশ্য খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না কোভারম্যান্স। তাইপেইয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পেয়ে তিনি খুশি। বললেন, “আমার দল জেতার মতোই খেলেছে। সুযোগগুলো নষ্ট না করলে বড় ব্যবধানে জিততে পারতাম।”
ভারতের পরের ম্যাচ গুয়ামের বিরুদ্ধে। যার আগে কোভারম্যান্সকে ফের চিন্তায় রাখছে ইয়াঙ্গনের অসম্ভব গরম। এ দিনও তাইপেই ম্যাচে একটা সময়ে গরমই হয়ে উঠেছিল ভারতের প্রধান প্রতিপক্ষ।
|
ভারত: সুব্রত, নির্মল, গৌরমাঙ্গী, রাজু, গুরজিন্দর, ফ্রান্সিস (নবি), লেনি, মেহতাব, ক্লিফোর্ড, জুয়েল (রবিন), সুনীল। |