হায়দরাবাদে প্রায় এক বছর আগের নিউজিল্যান্ড টেস্টের মতো এ বারও প্রথম থেকেই টার্ন ছিল। গোটা টেস্টেই ভারতীয় স্পিনাররা এই পিচে বল করাটা উপভোগ করবে। মাইকেল ক্লার্ক আবার একটা ভাল টস জিতল। টেস্ট যত এগোবে, ব্যাট করা তত কঠিন হবে। বিশেষ করে এই অনভিজ্ঞ অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং লাইন আপের পক্ষে। কারণ প্রথম ভারত সফরে এসে তিন জন ভাল স্পিনারের বিরুদ্ধে ব্যাট করা সহজ নয়।
ক্লার্কের অসাধারণ ফর্ম চলছেই। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ফস্কালেও ওর ইনিংসটা দুর্দান্ত ছিল। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ক্লার্ক। আর আরও এক বার ক্লার্ক যে মাপদণ্ড তৈরি করল, ওর টিম তার ধারেকাছে পৌঁছতে পারল না। এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর তুলতে না পারায় অস্ট্রেলিয়া নিশ্চয়ই হতাশ হবে। কারণ এ রকম পিচে বড় রান তোলা প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক জনের শট বাছাই খুব সাধারণ ছিল। যে শটগুলো বাউন্সি পিচে দেখা যায়। অস্ট্রেলীয়দের ক্রিকেট-হাতেখড়ি হয় বাউন্সি পিচে। চেন্নাইয়ে ওরা টেস্ট হারলেও ওখানে অস্ট্রেলীয়রা বেশি ভাল ব্যাট করেছিল। কারণ চেন্নাই পিচে বাউন্স ছিল। কিন্তু হায়দরাবাদে ওয়ার্নার, ওয়াটসন বা কাওয়ানের শট দেখলেই বোঝা যাবে, অ্যাডজাস্টমেন্ট বলে ওদের কিছু ছিল না। ব্যাটিংয়ের হতাশা পোষাতে গেলে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে অসাধারণ বল করতে হবে। মনে হয় এই টেস্টে ওদের টিম বাছাই একদম ঠিক হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে ফেরাতে ম্যাক্সওয়েল-ডোহার্টি, দু’জনকেই ভাল বল করতে হবে।
ভারতীয় বোলারদের প্রশংসা করতেই হবে। ভুবনেশ্বর কুমার প্রতি ম্যাচে উন্নতি করছে। নতুন বলে আজ দারুণ বল করল। ভারতীয় উইকেটে সিমাররা প্রথম দিকে উইকেট পেয়ে গেলে টার্নিং ট্র্যাকে পরে স্পিনারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। আজ প্রত্যেক স্পিনার খুব ভাল বল করেছে। এই টেস্টে হরভজন অনেক ভাল বল করেছে। প্রথম টেস্টের পরপরই হরভজনকে বাদ দেওয়া নিয়ে অনেকে লেখালেখি করেছিলেন। সেগুলো একেবারই যুক্তিহীন। যাঁরা ক্রিকেটটা খেলেছেন, তাঁদের সবার কাছে অনুরোধ, এই ক্রিকেটারদের দয়া করে একই মাপদণ্ড দিয়ে বিচার করুন। বিশেষ করে হরভজনের মতো চ্যাম্পিয়নকে।
রবীন্দ্র জাডেজা আরও এক বার দারুণ বল করল। এই ধরনের পিচে ওর বোলিং ভাল সাফল্য পাচ্ছে। ব্যাটে রান আসতে থাকলে এই দলের বড় সম্পদ হয়ে উঠবে জাডেজা। সব মিলিয়ে বলি, হায়দরাবাদের প্রথম দিন ভারতের পক্ষে খুব ভাল গিয়েছে। এ বার ব্যাটিং শক্তি দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ থেকে বের করে দেওয়ার অপেক্ষা। |