|
|
|
|
গাছে মদ্যপ যুবককে ঝোলালেন বিধায়ক |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
মদ্যপানের শাস্তি দিতে এক যুবককে সারাদিন হাত বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এক বিধায়ক। ‘অমানবিক’ এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। ডুমরি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগন্নাথ মাহাতোর নির্দেশে তাঁর দলবল আজ সকালে ওই ব্যক্তিকে গাছে ঝুলিয়ে দেন।
বোকারোর চন্দ্রপুরা ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম ভানদ্রিদা। সেই গ্রামের বাসিন্দা জিতেন্দ্র চৌধুরীকে আজ সকাল দশটা নাগাদ বিধায়কের লোকজন এসে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন। জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ সে মদ্যপানে আসক্ত। গ্রামের মানুষ জানান, জিতেন্দ্র মদ্যপান করে পরিবারের লোকজনের ওপরে নির্যাতন চালাত। স্ত্রী ও বাচ্চাদের মারধর করত। দিন কয়েক আগে বিধায়ক গ্রামে এসেছিলেন। তখন জিতেন্দ্রর পরিবার তাঁর বিরুদ্ধে বিধায়কের কাছে নালিশ করে।
সেই নালিশের জেরেই গাছের মোটা ডালের দু’দিক দিয়ে ওই যুবকের হাত বেঁধে তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে সে। ঘণ্টা দু’য়েক ওই অবস্থায় তাঁকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে ওই ঘটনার খবর চাউর হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিধায়কের কাছে সংবাদ মাধ্যমের ফোন যাওয়ার পরেই ফের তাঁর নির্দেশেই গ্রামের লোকজন জিতেন্দ্রর হাতের বাঁধন খুলে তাকে নামিয়ে আনেন। যদিও ঘটনার মধ্যে নিজের কোনও দোষ দেখতে পাননি বিধায়ক। এমনকী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া নিয়েও তিনি অনুতপ্ত নন। বরং জিতেন্দ্রর স্বভাব বদলাতেই তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানান জগন্নাথবাবু। তিনি বলেন, “শাস্তি না দিলে ওর শিক্ষা হবে না। এই যে কষ্টটা পেয়েছে এরপরে সে মদ্যপান থেকে দূরে থাকবে। তাতে ওর পরিবারের লোকজন শান্তিতে থাকবেন।”
কিন্তু এ কাজের জন্য পুলিশ রয়েছে তো? বিধায়কের কথায়, “ছেলেটির বাড়ির লোক পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ ব্যবস্থা নিত। আমার কাছে এসেছে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।” বিধায়কের কাজে অন্যায় দেখছে না তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও। দলের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “যে লোক মদ্যপান করে পরিবারের ওপরে অত্যাচার করে তার এই শাস্তিই উচিত। বিধায়ক কোনও অন্যায় করেননি।” |
|
|
|
|
|