জাতীয় সড়ক থেকে যে সব পিচ রাস্তা মফস্সল শহরের দিকে গিয়েছে, কিংবা বিভিন্ন গ্রামে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার টাকায় যে সব পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছে, সেই সব রাস্তার উপর অনেক জায়গায় প্রয়োজনে, অথবা স্থানীয় মানুষের চাপে ‘স্পিড ব্রেকার’ রাখা হয়েছে। তার ফলে পথচলতি মানুষের দুর্ঘটনার সম্ভবনা কমলেও মোটর বাইক আরোহিরা প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। দূর থেকে ‘স্পিড ব্রেকার’-এর অবস্থান বুঝতে না পারার ফলে হঠাৎ করে ব্রেক কষতে হয়। তার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অথবা, ‘স্পিড ব্রেকার’-এ হঠাৎ জোরে ধাক্কা লাগার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকের চালক ও আরোহিরা ছিটকে পড়েন। এর ফলে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। ‘স্পিড ব্রেকার’-এর উপর সাদা রঙ দিয়ে যদি জেব্রা ক্রসিং এঁকে দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়, তা হলে বাইক চালকেরা দূর থেকেই সতর্ক হতে পারেন। তার ফলে কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনা এড়ানো যেতে পারে। কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন।
সাধন দাস, ভৈরবটোলা-লবনচোয়া
|
রঘুনাথগঞ্জ থানা ও পুরসভার গাড়িঘাট, আইলের উপরের প্রাইমারি স্কুল চত্বর, সুজাপুর মাঠ সংলগ্ন এলাকা, চাঁইপাড়া, ঘোষপাড়া, জঙ্গিপুর বাজার, বরজের সব্জি বাজার, পিয়ারাপুর, জোতকমল, সম্মতিনগরে জুয়া ও মদের আসর বসছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। রঘুনাথগঞ্জ শহরের যানজট মুক্ত করতে সম্প্রতি পুলিশ ও পুরসভার উদ্যোগে রাস্তার পাশের জবরদখল মুক্ত করা হয়েছে। অবৈধ মদের ঠেক ও জুয়ার আসর উচ্ছেদে ওই রকম যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হলে পরিবেশ কলুষমুক্ত হবে।
মাসিদুল শেখ, রঘুনাথগঞ্জ
|
বহরমপুর শহরের উন্নয়নের গল্পটা বহরমপুর পুরসভার সীমানা ছাড়ালেই কি মুখ থুবড়ে পড়ে? আমি বহরমপুর পুরসভার সীমানা লাগোয়া সুতির মাঠ এলাকার আম্রপালি অঞ্চলের বাসিন্দা। গত সতেরো বছর এখানে উন্নয়নের ছিঁটেফোঁটাও কোনও তরফ থেকে বর্ষিত হতে দেখিনি। এখনও এখানে মাটির রাস্তা। নেই নিকাশি। বর্জ্য পরিস্কারের ব্যবস্থাও নেই। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, বা পঞ্চায়েত সমিতির কাছ থেকে মৌখিক আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বহরমপুরের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, বিধায়ক এবং জেলাপরিষদের সভাধিপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমারও কিন্তু বহরমপুর লোকসভা ও বিধানসভার ভোটার। তা হলে বঞ্চনার ইতিহাস এত দীর্ঘ কেন?
সন্দীপন মজুমদার, সুতির মাঠ
|
আমরা বহরমপুর শহর লাগোয়া পঞ্চাননতলা নবপল্লি পূর্বপাড়া ও রাধিকানগর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। বহু দিন আমাদের এলাকার কোনও উন্নতি হয়নি। আমরা প্রতি বছর ৪-৫ মাস জলমগ্ন অবস্থায় বাস করি। আমাদের এলাকায় আজও রাস্তা ও নিকাশির ব্যবস্থা হয়নি। আমদের অফিস, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় জল মাড়িয়ে যেতে হয়। যদিও নিকাশির জন্য কদবেলতলা পর্যন্ত হাইড্রেন রয়েছে। কিন্তু সেই ড্রেন দিয়ে জল যায় না। সব সময় নোংরা জমে থাকে। দুর্গন্ধ ও মশার দাপটে আমাদের অবস্থা কাহিল। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। অতএব আমাদের রাস্তা ও জল নিকাশির ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় সংসদ, বিধায়ক ও জেলাপরিষদের সভাধিপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জ্ঞানেন্দ্রনাথ দাস, পঞ্চাননতলা-নবপল্লি |