মাধ্যমিকে নকল সরবরাহ করতে গিয়ে এ বার ধরা পড়লেন এক শিক্ষক! বৃহস্পতিবার ইতিহাস পরীক্ষার দিনে এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে। পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম হায়দার পারভেজ। তিনি গোয়ালপোখরের বিপ্রীত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তাঁকে ধরেন ইসলামপুরের মহকুমা শাসক সমনজিৎ সেনগুপ্ত। মহকুমা শাসক বলেন, “ধৃত ওই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশ আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে। স্কুলগুলির ঘরের ভিতরে ও বাইরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ঘরের ভিতরে নকল পেলেই সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীর খাতায় তা উল্লেখ করাও হচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন নকল সরবরাহ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিন গোয়ালপোখরে অনেক বেশি পুলিশি পাহারা চোখে পড়েছে। তবে তার মধ্যেই চলেছে নকল সরবরাহ এবং টোকাটুকি। এদিনই জানলার কার্নিস বেয়ে ক্লাসঘরে নকল সরবরাহের ঘটনাও চোখে পড়েছে। ইসলামপুরের মহকুমা শাসক ও এসডিপিও বিভিন্ন এলাকাগুলিতে গিয়ে নকল সরবরাহকারীদের বাধা দেন।
উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া রামকৃষ্ণপুর স্কুলে নকল সরবরাহে বাধা দেওয়ায় গোলমাল শুরু হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “নজরদারি এ দিন বাড়ানো হয়। পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ায় ২০ জনকে ধরা হয়েছে।” তবে ইসলামপুর, চোপড়া ও করণদিঘি এলাকাতে কেউ গ্রেফতার হয়নি। উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন থেকে গোয়ালপোখরে নকল এবং গণটোকাটুকির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। বিভিন্ন স্কুলের দেওয়াল, কার্নিস বেয়ে ক্লাসঘরের ভিতরে দেদার নকল সরবরাহ চলতে থাকে। ইংরেজি পরীক্ষার দিন পুলিশকে লক্ষ্য করে নকল সরবরাহকারীরা ঢিল ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ। ঢিলের ঘায়ে সামান্য জখম হন খোদ এসডিপিও। |