খাতায়-কলমে রয়েছেন ছ’জন চিকিৎসক। কিন্তু গোসাবা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায়ই তাঁদের দেখা মেলে না বলে অভিযোগ তুলেছেন রোগী ও গ্রামবাসীরা। এ ছাড়াও রয়েছে পরিষেবা সংক্রান্ত নানা সমস্যা।
৩০ শয্যার এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল গোসাবা, বালি-১, বালি-২, লাহিড়ীপুর, মন্মথনগর, দয়াপুর প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু রোগী ও তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের অভিযোগ, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগ খোলা থাকার কথা। কিন্তু সেই সময়ে অনেক চিকিৎসকেরই দেখা পাওয়া যায় না। কোনও কোনও দিন এমনও হয়, রোগী আছে কিন্তু একজন চিকিৎসকেরও দেখা নেই। রোগীদের ‘রেফার’ করে দেওয়া হয় ক্যানিং হাসপাতালে।
ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ক্যানিং হাসপাতালের দুরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। পেরোতে হয় নদী। তারপর ভ্যান, অটো, ট্রেকার ধরতে হয় রোগীদের। তা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই মণ্ডলের ক্ষোভ, “চিকিৎসকের দেখা তো মাঝেমধ্যেই মেলে না, নার্সও কম বলে প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাই না।” কণিকা সরকার নামে আর এক গ্রামবাসী বলেন, “হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না। সামান্য পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয় বেসরকারি প্যাথলজি কেন্দ্রে।” এ ছাড়াও, সিজার চালু না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় প্রসূতিদের।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রঞ্জন মণ্ডল বলেন, “হাসপাতাল নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে আমাকে লিখিত ভাবে জানাক। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।” ক্যানিং মহকুমার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মলয়কান্তি দাস বলেন, “বিষয়গুলি খোঁজ নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।” |