উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল তিন মাস আগে। তা নিয়ে এনজেপির রামনগর কলোনির বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দুই রেলকর্মী উচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলতে যান। তখনই বাসিন্দাদের একাংশ তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী বাসিন্দাদের মদত দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, জখমদের নাম সুশীল দাস ও দীপক কুণ্ডু। লাঠির আঘাতে সুশীলবাবুর মাথা ফেটে গিয়েছে। দু’জনকে রেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার পর সেখানে যান রেলের এনজেপি এরিয়া ম্যানেজার পার্থ শীল সহ আধিকারিকরা। পুলিশ ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “পুনবার্সন না দিয়ে উচ্ছেদের বিরোধী আমরা। বস্তির বাসিন্দাদের জন্য পুনর্বাসনের প্রকল্প আমাদের জানানো হোক। তাহলে আমরাও রেলকে সাহায্য করতে পারব।”
এরিয়া ম্যানেজার অবশ্য পুনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “আমরা ছয় জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।” পুলিশ সরকারি কাজে বাধা এবং কর্মীদের মারধরের অভিযোগ দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।” ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়দীপবাবু দাবি করেন, রেলের তরফে উচ্ছেদের চেষ্টা হওয়ায় বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তিনি বলেন, “হামলার অভিযোগ ঠিক নয়। বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা হলে তাঁরা প্রতিরোধ করেন।”
রামনগর কলোনিতে ১৩০টির উপরে পরিবার বসবাস করছেন। তিন মাস আগে রেলের তরফে বাসিন্দাদের জায়গা খালি করে দেওয়ার নোটিস জারি করা হয়। বুধবার রাতে বাসিন্দারা জানতে পারেন বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান চালাতে পারে রেল কর্তৃপক্ষ। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ তৃণমূল মিছিল বের করে। তার আধ ধন্টার মধ্যেই রেলের ওই দুই কর্মী দুটি বাইকে চেপে কলোনিতে যান। |