সব কিছু ঠিক থাকলে মাস দুয়েকের মধ্যেই অস্থায়ী ভাবে সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু হতে চলেছে জলপাইগুড়িতে। কাল শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র সহ ৬ বিচারপতির জলপাইগুড়িতে আসার কথা। ওই প্রতিনিধি দল সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ও অস্থায়ী পরিকাঠামো পরিদর্শনে করবেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে রাজ্যের আইনমন্ত্রী-সহ জেলা প্রশাসন, পূর্ত দফতর, পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রতিনিধি দল। অস্থায়ী বেঞ্চের কাজ শুরু হতে আরও নতুন কী কী পরিকাঠামো প্রয়োজন সে বিষয়ে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, শনিবার থেকেই শহরের পাহাড়পুরে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে. উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব নির্মাণ কাজের সূচনা করবেন। এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ বিচারপতিদের প্রতিনিধি দল পরিকাঠামো দেখতে আসবেন। রাজ্যের আইনমন্ত্রীও তাঁদের সঙ্গে থাকবেন। আগামী শনিবার থেকে জলপাইগুড়িতে স্থায়ী ভবনের কাজ শুরু হচ্ছে। আমি নিজে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকব।”
১ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেলের উপস্থিতিতে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে ৪০ একর জমিতে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শিলান্যাসের পরে প্রায় ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দে স্থায়ী ভবনের নির্মাণের বরাত পায় একটি সর্বভারতীয় নির্মাণ সংস্থা। সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু করতে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞপ্তিও সম্প্রতি জারি হয়েছে বলে প্রশাসনিক একটি সূত্রের দাবি। স্থায়ী ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পরে জলপাইগুড়িতে বেঞ্চের অস্থায়ী ভবন, জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অস্থায়ী ভাবে কাজ শুরুর আগে মোটামুটি চূড়ান্ত পরিদর্শনের জন্যই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ ছয় জনের এই প্রতিনিধি দল জলপাইগুড়িতে আসছেন বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
জলপাইগুড়িতে অস্থায়ী বেঞ্চের কাজ শুরু করার জন্য রাজ্য সরকারকে বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পাহাড়পুরের জমিতে হাইকোর্টের স্থায়ী ভবনের চার তলা বাড়ির নির্মাণ কাজ শনিবার থেকে শুরু হলে সেই শর্ত পূরণ করা হবে বলে রাজ্য সরকার মনে করছে। অস্থায়ী ভাবে বেঞ্চের কাজ শুরু হলে বিচারপতিদের থাকার অস্থায়ী আবাসন তিস্তা ভবন এবং সার্কিট হাউসের সম্প্রসারিত অংশের কিছু সংস্কার করা হবে। পাশাপাশি, অস্থায়ী ভবন তথা জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় ঘরের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কবে নাগাদ জলপাইগুড়িতে বেঞ্চের কাজ শুরু হতে পারে। উত্তরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার দ্রুত বেঞ্চের কাজ শুরু করে দিতে চাইছে। সে জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ রাজ্য সরকার করেছে এবং করবে।” |