এর আগে আলিপুরের জেলা ও দায়রা আদালতে চার-চার বার জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার পঞ্চম বার আবেদন করে শেষ পর্যন্ত ওই আদালত থেকেই জামিন পেলেন ভাঙড়ের হাঙ্গামায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তবে এ দিন বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। ৪৩ দিন আটকে থাকার পরে আজ, শুক্রবার জেল থেকে বেরোবেন আরাবুল। তবে জামিনের শর্ত, জেল থেকে বেরোলেও তাঁকে কার্যত ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হবে বলে কিছু আইনজীবীর অভিমত।
আরাবুলের ঘোরাফেরার ব্যাপারে কড়া শর্ত আরোপ করেছে আদালত। জেলা ও দায়রা আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুদেব মিত্র তাঁর নির্দেশে জানান, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে আরাবুল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় ঢুকতে পারবেন না। গত ৮ জানুয়ারি ওই থানা এলাকারই বামনঘাটায় সিপিএম-সমর্থকদের গাড়িতে আগুন লাগানো এবং গুলি চালানোর মামলায় এত দিন পুলিশ ও জেল-হাজতে ছিলেন আরাবুল। এই মামলা চলাকালে সাধারণ ভাবে ওই এলাকায় তাঁর ঢোকা বারণ। শুধু চিকিৎসার প্রয়োজনে ওই এলাকায় ঢুকতে পারবেন। প্রবীণ সিপিএম নেতা রেজ্জাক মোল্লাকে মারধরের মামলায় এর আগেই বারুইপুরের মহকুমা আদালত থেকে জামিন পান আরাবুল। কাশীপুর থানা এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে আরাবুলের বেরোনোর উপরেও শর্ত আরোপ করেছে আদালত। বিচারক জানান, বাড়ি থেকে বেরোতে গেলে আরাবুলকে পুলিশের লিখিত অনুমতি নিতে হবে। আলিপুর আদালতের এক আইনজীবী বলেন, “আরাবুলকে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হবে।” সরকারি আইনজীবী শ্যামাদাস গঙ্গোপাধ্যায় ও শিবনাথ অধিকারী এ দিন আরাবুলের জামিনের বিরোধিতা করেননি। আরাবুলের আইনজীবী প্রদোষ লাহিড়ী ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “৪৩ দিন ধরে আরাবুল হাজতে রয়েছেন। তদন্তের ক্ষেত্রে তিনি সব সাহায্যও করবেন বলে জানিয়েছেন। তাই জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।” |