স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল স্বরূপনগর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম জয়দেব ভট্টাচার্য। বাড়ি ব্যারাকপুরের সদরবাজার এলাকায়। ব্যারাকপুরের আইএনটিটিইউসির সহ-সভাপতি তথা তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতার ভাই তিনি। তাঁর ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা রয়েছে।
বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বুধবার রাতে জয়দেববাবুর স্ত্রী সহেলি ভট্টাচার্যের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” বৃহস্পতিবার ধৃতকে বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতে হাজির করানো হলে তার চার দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগরের বাসিন্দা কৃষ্ণপদ ভট্টাচার্যের মেয়ে সহেলির সঙ্গে ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয় ব্যারাকপুরের সদরবাজারের বাসিন্দা জয়দেব ভট্টাচার্যের। সামাজিক অনুষ্ঠান হয় ১৮ নভেম্বর। সহেলিদেবীর অভিযোগ, অনুষ্ঠানের রাতেই বিবাহিত এক মহিলা জয়দেবকে বিয়ে করার জন্য তাঁকে হুমকি দেন। তার কিছুদিন পর ওই মহিলার সঙ্গে স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তিনি। তিনি প্রতিবাদ করলেও লাভ হয়নি। তাঁর অভিযোগ, প্রতিবারই স্বামী এই বলে শাসিয়েছেন যে যেহেতু তাঁর ভাসুর প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা, তাই কোনও অভিযোগই তিনি প্রমাণ করতে পারবেন না। বাধ্য হয়ে ২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি বাপের বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে মা ও এক আত্মীয়কে নিয়ে স্বরূপনগরে শ্বশুরবাড়িতে আসেন জয়দেববাবু। সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে উত্তেজনা ছড়ালে সহেলিদেবীর বাড়ির পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ পেয়ে জয়দেবাবুকে গ্রেফতার করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে সমস্ত দোষ স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির উপরে চাপিয়ে দিয়েছেন জয়দেববাবু। তার অভিযোগ, স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য বৃদ্ধা মাকে নিয়ে স্বরূপনগরে গেলে মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে। |