জোট ভেঙে যাওয়ার পর তৃণমূল এবং কংগ্রেসের লড়াই থেকে ফয়দা তুলতে পারল না বিজেপি। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রেজিনগর কেন্দ্রে বিজেপি ৪.৩২ শতাংশ ভোট পায়। এ বার ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপি ভোট পেয়েছে মাত্র ২.১৭ শতাংশ।
মাত্র মাস চারেক আগে, গত বছর ১০ অক্টোবর এ জেলারই জঙ্গিপুর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি অবশ্য ভালই ভোট টানতে পেরেছিল। সেই নির্বাচনে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ১০.৬০ শতাংশ। ওই নির্বাচনেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তৃণমূল কোনও প্রার্থী দেয়নি। সেক্ষেত্রে এ বার বাম বিরোধী ভোট টানতে তারা সফল হবে বলে আশা ছিল। তবে রেজিনগরে ভোটের লড়াই প্রধানত হুমায়ুন ও অধীরের ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠার মধ্যে হওয়ায় বিজেপি এখানে পিছিয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জঙ্গিপুর উপনির্বাচনে আহিরণের আলিগড় ক্যাম্পাসকে ‘হাতিয়ার’ করে ভোটে লড়ে বিজেপি তাদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে সক্ষম হয়। রেজিনগরের উপনির্বাচনে তাদের হাতিয়ার ছিল ‘উন্নয়ন’। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের সাড়া মেলেনি। বিজেপি’র ভোট কমেছে প্রায় ২.১৫ শতাংশ।
ভোটে খারাপ ফল হওয়ার কারণ হিসেবে বিজেপি’র মুর্শিদাবাদের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মণ্ডল বলেন, “রেজিনগর উপ-নির্বাচনে এবার অধীর চৌধুরী বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীকে ভোট দেবে বলে মানুষ আগে থেকেই ঠিক করে নিয়েছিল। আর বামফ্রন্ট তার সংগঠনগত ভাবে ভোট পেয়েছে। সেখানে আমরা মানুষকে ঠিক মত বোঝাতে পারিনি।”
শেষ পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসের রবিউল আলম চৌধুরী ৬৬৮৭৬ (৩৯.০৮%) হাজার ভোটে জয়ী হওয়ায় অধীর চৌধুরী তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিসমা ধরে রাখলেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতির কথায়, “কংগ্রেসের মজবুত সংগঠন এবং কংগ্রেস কর্মীদের দৃঢ়তার ফলেই এই জয়।” ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে আরএসপি’র সিরাজুল ইসলাম মণ্ডল। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫৫১৫৪ (৩২.২৩%)। তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর ৪০৯১১ (২৩.৯০%) ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। বিজেপি’র অরবিন্দ বিশ্বাস পেয়েছেন ৩৭২০ (২.১৭%) ভোট। |