|
|
|
|
১২টি ব্লকে সমস্যা |
চুক্তি নবীকরণে দেরি, রান্না বন্ধ অঙ্গনওয়াড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চুক্তি নবীকরণে দেরি হওয়ায় কাঁচা মাল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারই জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১২টি ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার সরবরাহ হচ্ছে না। স্বভাবতই বিপাকে পড়েছেন উপভোক্তারা। তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভও। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছে জেলা প্রশাসনও। অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্তের বক্তব্য, “চুক্তি নবীকরণ না হওয়ায় কিছুদিন অবশ্য কয়েকটি ব্লকে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।” তবে অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রকল্পের জেলা আধিকারিক প্রবীর সামন্ত। তিনি বলেন, “চুক্তি নবীকরণ হয়ে গিয়েছে। কাঁচামাল সরবরাহের কাজও শুরু হয়েছে। শীঘ্রই প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রই আগের মতো চালু হয়ে যাবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়েই অঙ্গনওয়ানি কেন্দ্র থেকে খাবার দেওয়ার জন্য কাঁচামাল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি সংস্থাকে। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। যে সব অঙ্গনওয়াড়িতে ডিসেম্বরের শেষ দিকে কাঁচামাল এসেছিল, সেখানে রান্না ও খাবার সরবরাহ হচ্ছিল। কিছু কেন্দ্রে কাঁচামাল গিয়েছিল অনেক আগে। তা দিয়ে কোথাও জানুয়ারির মাঝামাঝি বা কোথাও বা শেষ পর্যন্ত চলে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির গোড়ায় চাল, ডাল, তেল শেষ হয়ে যায় অধিকাংশ কেন্দ্রে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় দেখা যায় মেদিনীপুর শহর, কেশিয়াড়ি, সবং, গড়বেতা ২, গোপীবল্লভপুর ১, বিনপুর ২, পিংলা, খড়্গপুর ১-সহ ১২টি ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে রান্না বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে রাজ্য সরকারকে সব জানানো হয়। তারপরেই দ্রুত চুক্তি নবীকরণে পদক্ষেপ শুরু করে রাজ্য। চলতি সপ্তাহেই চুক্তি নবীকরণ হয়েছে। মার্চ মাস থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে রান্না ও খাবার সরবরাহ শুরু হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
জেলার মোট ২৯টি ব্লকের মধ্যে ২৮টিতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলে। তবে আদালতে মামলা চলায় খড়্গপুর ২ ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি চালু করা যায়নি। সেখানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়েই মামলা চলছে। |
|
|
|
|
|