|
|
|
|
বস্ত্রশিল্প উন্নয়নে এক গুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পশ্চিমে মন্দার কারণে মার খেয়েছে ভারতীয় বস্ত্রের রফতানি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বস্ত্রশিল্প। বাজেটে তাই বিশেষ নজর এই শিল্পের দিকে।
প্রযুক্তি উন্নয়ন তহবিল প্রকল্পে বস্ত্রশিল্পের জন্য ১ লক্ষ ৫১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের লক্ষ্য স্থির করল কেন্দ্র। মূলত তাঁত যন্ত্রগুলির দিকেই দৃষ্টিপাত করা হয়েছে। কাপড় বোনার পুরনো যন্ত্রগুলি সারাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আনা হবে নতুন যন্ত্রও। বিদেশ থেকে যন্ত্র আমদানিতে শুল্কের উপর ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষিত হল বাজেটে। ২০১৩১৪ সালে এই খাতে ২৪০০ কোটি টাকা তুলে রাখা হবে বলে ঘোষণা করলেন পি চিদম্বরম। বস্ত্র পার্কের নতুন প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। বস্ত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে একটি বস্ত্র পার্কের তলায় আনতে বস্ত্র মন্ত্রকে ৫০ কোটি টাকা লগ্নি করার কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। প্রতিটি নির্মিত পার্ক পিছু ১০ কোটি টাকার অতিরিক্ত তহবিলও বরাদ্দ হয়েছে। অন্য দিকে অর্থের অভাবে ধুঁকছে হস্তচালিত তাঁতগুলিও। তাঁত শিল্পীদের মধ্যে একটা বড় অংশ অনুন্নত শ্রেণির মহিলা। তাঁদের মূলধন বিনিয়োগের কথা ভেবেই ৬ শতাংশ সুদের হারে ঋণের ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করা হল বাজেটে। ১৫ লক্ষ তাঁতি এবং ১৮০০টি সমবায় সমিতি এতে লাভবান হবে। সুদের হার কম রাখার জন্য বস্ত্র মন্ত্রককে আরও ৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে কেন্দ্র।
গত বারের বাজেটেই ছোবড়া, খাদি-সহ বিভিন্ন গ্রামীণ বস্ত্রশিল্পের উন্নতির জন্য এবং তাদের পুনরুজ্জীবনে বিশেষ তহবিল স্ফুর্তি (স্কিম অফ ফান্ড ফর রিজেনারেশন অফ ট্র্যাডিশনাল ইন্ডাস্ট্রিজ)-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দ্বাদশ যোজনায় সেই তহবিলে এ বার কেন্দ্র বরাদ্দ করল ৮৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ব্যাঙ্কগুলিরও সাহায্য নেওয়া হবে, যাতে স্ফুর্তি-র ৮০০টি ক্লাস্টারের অধীনে ৪ লক্ষ শিল্পী উপকৃত হন। বস্ত্রশিল্পের পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উন্নতি প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথাও ঘোষিত হল বাজেটে। পরিকাঠামো মজবুত করার উদ্দেশ্যে আরও ৫০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|