|
|
|
|
মূল্যবৃদ্ধি রুখতেই বাড়ল কৃষি-বরাদ্দ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
গত আর্থিক বর্ষের শুরুতে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছিল। এ বছর যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই বাজেটে আগাম দাওয়াই হিসেবে বরাদ্দ বাড়ালেন পি চিদম্বরম।
চলতি অধিবেশনেই খাদ্য সুরক্ষা বিল পেশ হবে। বিলটি আইনে রূপান্তরিত হলে প্রয়োজন হবে প্রচুর খাদ্যশস্যের। তাই উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে কৃষিতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। কৃষিজ উৎপাদন বাড়িয়ে দাম কমানো সম্ভব হলে হ্রাস পাবে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধিও। সব মিলিয়ে আজকের বাজেটে চিদম্বরম এক ঢিলে তিন পাখি মারলেন।
গত বছরের সংশোধিত বরাদ্দের চেয়ে এ বছর ২২% বেশি, মোট ২৭,০৪৯ কোটি টাকা কৃষি মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ করার প্রস্তাব করেছেন চিদম্বরম। এর মধ্যে ৩,৪১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে কৃষি সংক্রান্ত গবেষণায়। ন্যূনতম সহায়কমূল্যও বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তিনি। কৃষি ঋণের বরাদ্দ গত বছর ছিল ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি। সেখানে এই আর্থিক বছরে বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ কোটি।
চলতি আর্থিক বছর পর্যন্ত ঋণ শোধ করলে কৃষকদের বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার সুবিধা মিলত শুধুমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে। আগামী আর্থিক বছর থেকে এই সুবিধা মিলবে বেশ কিছু নির্বাচিত বেসরকারি ব্যাঙ্কেও।
অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, “পূর্ব ভারতের অসম, বিহার, ছত্তীসগঢ় ও পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলি ফসল উৎপাদনে উন্নতি করেছে। যাকে সবুজ বিপ্লব বলাই যায়।” তাই রাজ্যগুলিতে ফলন বাড়াতে আগামী অর্থবর্ষে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করেন তিনি। যে রাজ্যগুলিতে উৎপাদনের পরিমাণ কমছে তাদের সাহায্যে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা প্রস্তাব করেন। বাজেটে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা এবং জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের জন্য ৯,৯৫৪ কোটি এবং ২,২৫০ কোটি বরাদ্দ হয়েছে। |
|
|
|
|
|