|
|
|
|
প্রত্যাশার ঝুলি ভরেনি নির্মাণ শিল্প মহলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গৃহঋণে আয়কর ছাড়ের পরিমাণ বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু সাধারণ ভাবে আম আদমির মাথার উপরে ছাদ জোগানোর জন্য বড় কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেই মনে করছে নির্মাণ শিল্পমহল।
বাজেটে নতুন ক্রেতাদের জন্য গৃহঋণে বাড়তি ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম বার যাঁরা বাড়ি কিনছেন, তাঁরা ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে বাড়তি ১ লক্ষ টাকা সুদে ছাড় পাবেন। কী রকম? ধরা যাক, কোনও ব্যক্তির ২৫ লক্ষ টাকা গৃহঋণের জন্য আগামী অর্থবর্ষে তাঁকে মোট আড়াই লক্ষ টাকা সুদ দিতে হবে। এত দিন করযোগ্য আয় নির্ণয়ের সময় আয়কর আইনের ২৪ নম্বর ধারায় গৃহঋণে সুদ বাবদ সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা মোট বেতন থেকে বাদ যেত। কিন্তু ওই ব্যক্তি এ বার ছাড় পাবেন আড়াই লক্ষ টাকা। ২০১৪-’১৫ কর মূল্যায়ন বর্ষে এই ছাড়ের সুবিধা যদি কেউ পুরোপুরি না নিতে পারেন, তা হলে পরের কর মূল্যায়ন বর্ষে বাকি সুযোগ নিতে পারবেন। অর্থাৎ লক্ষ টাকা ছাড়ের মধ্যে আগামী মূল্যায়ন বর্ষে কেউ যদি ৫০ হাজার টাকা ছাড়ের সুযোগ নিতে পারেন, বাকি ছাড়ের সুযোগ নিতে পারবেন পরের কর মূল্যায়ন বর্ষে।
কিন্তু মধ্যবিত্ত বাজার বাড়িয়ে নিতে কম দামের বাড়ি তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে আলাদা কিছু আর্থিক সুযোগসুবিধা আশা করেছিল নির্মাণ শিল্প মহল। বাজেটে তা মেলেনি। সুবিধা। বেঙ্গল পিয়ারলেসের কুমারশঙ্কর বাগচির মতে সাধারণের জন্য বাড়ি তৈরি করতে সরকারি সহায়তা জরুরি। তিনি বলেন, “অ্যাফোর্ডেব্ল হাউসিং-এর জন্য নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দিয়ে নির্মাণ সংস্থাকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া যেতে পারত।” স্থানীয় সংস্থা ব্লু চিপের ঋত্বিক দাস এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “সরকারি সহায়তা ছাড়া জমি কেনার দাম খুবই চড়া। কম দামে বাড়ি বিক্রি করা সমস্যা।”
তবে গ্রামীণ আবাসন তহবিলের আদলে ২০০০ কোটি টাকার নগর আবাসন তহবিল তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন চিদম্বরম। তার মধ্যে কিছুটা আশার আলো দেখছে শিল্পমহল। জৈন গোষ্ঠীর ঋষি জৈন, ভিবজিওরের রাজা ভদ্রের মতে, নগর আবাসন তহবিল বাস্তবায়িত হলে নির্মাণ শিল্প উজ্জীবিত হবে। বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট অমিতকুমার সেনের মতে, লৌহ-আকরিক, সিমেন্ট-সহ আবাসন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শিল্প এতে উপকৃত হবে। |
|
|
|
|
|