|
|
|
|
বঞ্চনার স্লোগানেই ছাঁটাই প্রস্তাব আনবে তৃণমূল |
অগ্নি রায় • নয়াদিল্লি |
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পুরনো ইতিহাসই ফিরে এল বলে মনে করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তৃণমূলের দাবি, পি চিদম্বরমের বাজেটে ছত্রে ছত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়েছে। এই বাজেটের বিরুদ্ধে ছাঁটাই প্রস্তাব আনার কথা ভাবছেন তাঁরা।
রেল বাজেটের পরেও এই একই অভিযোগে সংসদে সরব হয়েছিল তৃণমূল। দলীয় সাংসদদের দাবি, এই বাজেট মানুষকে ধোঁয়াশায় রেখেছে। ঘোষণা অনেক হলেও তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট-সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়নি। কী রকম? সাংসদ সৌগত রায়ের অভিযোগ, “আধার কার্ড-ই এখনও হয়নি, অথচ সরাসরি নগদ হস্তান্তর নিয়ে ঘোষণা হচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ না করেই সরকার খাদ্য সুরক্ষার কথা বলছে।” চিদম্বরম কৃষিতে যেটুকু বরাদ্দ বাড়িয়েছেন, তা অপ্রতুল বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের দাবি, এই বাজেটে রাজ্যের জন্য যেটুকু ঘোষণা হয়েছে, তা-ও আদতে পুরনো সিদ্ধান্ত। যেমন, সাগরে নতুন বন্দর বা হলদিয়া থেকে ফরাক্কা জাতীয় জলপথ গড়ার সিদ্ধান্ত আগেই হয়ে গিয়েছিল বলে জানান লোকসভায় তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথিতে সামান্য টাকা বাড়ানো ছাড়া (গত বছর দেওয়া হয়েছিল ২৭.৯০ কোটি, এ বছরে ৩৩.৩৫ কোটি) রাজ্যের আর কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্থসাহায্য পায়নি। সৌগতবাবু বলেন, “বিরোধী দল হিসেবে এই বাজেটের বিরুদ্ধে ছাঁটাই প্রস্তাব আনব। তাতে কী থাকবে, আলোচনা করে স্থির হবে।”
পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা বাড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রের আর্থিক নীতি নিয়ে আগামী দিনে সংসদীয় দলকে আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটায় নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার স্লোগান যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে সার্বিক ভাবে ‘গরিব-বিরোধী’, ‘কৃষি বিরোধী’ নীতির কথাও।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেন্দ্রীয় ঋণের সুদ মকুবের জন্য মমতা চাপ দিচ্ছিলেন। আজকের বাজেটে সে ব্যাপারে কোনও দিশা নেই বলেই মন্তব্য করে সুদীপ বলেন, “এত বার দরবার করার পরেও আর্থিক ভাবে বেহাল রাজ্যগুলির সংকটমোচনের ব্যাপারে কোনও দিশা নেই। কেন্দ্র ঠিকই করে রেখেছে, পশ্চিমবঙ্গকে অর্থনৈতিক ভাবে মাথা তুলতে দেওয়া হবে না।” গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে এই বাজেটে নতুন কিছু নেই বলে হতাশ রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ইন্দিরা আবাস যোজনার বরাদ্দ ৪৭ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লক্ষ করার দাবি তুলেছিল রাজ্য। তা মানা হয়নি। সুদীপ বলেন, সারে ভর্তুকি ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে কোনও কথা নেই বাজেটে। নেই কর্মসংস্থান নিয়েও।
|
রাজ্যের ঘরে |
• অন্ধ্রের সঙ্গে এ রাজ্যও পাবে গভীর সমুদ্র বন্দর।
• হলদিয়া ও ফরাক্কার মধ্যে জলপথে পণ্য পরিবহণের অনুমতি।
• ‘সবুজ বিপ্লব’ চালিয়ে যেতে আর্থিক সহায়তা। |
|
|
|
|
|
|