আদালতের বিভিন্ন অব্যবস্থার অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ মূলত কালনা সাবডিভিশনাল এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার আইনজীবীরা প্রথমে ব্যাপারটি মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণচন্দ্র রায়কে জানান। পরে তাঁরা আদালত কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। আটকে পড়েন কর্মরত দুই সরকারি কর্মী। পরে অবশ্য তালা ভেঙে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এ দিন আদালত চত্বর ছিল সরগরম। আইনজীবীদের অভিযোগ, টালির ছাউনি দেওয়া পুরনো ঘরে আদালতটি চলে। দীর্ঘদিন ধরেই পরিকাঠামো বেহাল আদালতের। এছাড়া আদালতে কোনও কোর্ট ফি রেজিস্টার নেই, মক্কেলদের শুনানির তারিখ যথাযথ ভাবে নথিভুক্ত করা হয়না বলেও তাঁদের অভিযোগ। তাঁরা আরও জানান, আদালতে তিন জন মাত্র কর্মচারী রয়েছেন। তাঁরাও ঠিক মত কাজ করেন না। |
কোনও বসার জায়গাও নেই, সময়ে রায়ের কপি পাওয়া যায় না। ম্যাজিস্ট্রেট মামলার ব্যাপারে যে নির্দেশ দেন, তা বাইরে থেকে টাইপ করে আনতে হয়। পরে তাতে আদালতের স্ট্যাম্প এবং সিল ছাপ মারা হয়। এর মধ্যে তিন কর্মীর একজন ছুটি নিলে রায়ের নকল পাওয়া যায়না বলেও তাঁদের অভিযোগ। বিষয়গুলি বারবার মহকুমাশাসককে জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলে জানান তাঁরা। আইনজীবী চঞ্চল রাহা, অতনু মজুমদার, অরিন্দম বাজপেয়ী, শুভ্র রায়দের বক্তব্য, “এ ভাবে চলতে পারেনা। আদালতের অব্যবস্থার কারণে আমরা যেমন হয়রানির স্বীকার, সাধারণ মানুষও তেমনই দুর্ভোগের স্বীকার।” মহকুমাশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করা হচ্ছে। কালনার মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেঠি বলেন, “আমি বর্ধমানে ছিলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
|
ছেলেকে খুঁজে আত্মসমর্পণ করানোর জন্য ‘নিখোঁজ’ অভিযুক্তের মাকে নির্দেশ দিল কাটোয়া আদালত। বৃহস্পতিবার কাটোয়া আদালতের বিচারক অঞ্জনকুমার সরকার খুনের মামলায় অভিযুক্ত সাদ্দাম শেখের আন্নাহারা বিবিকে এই নির্দেশ দেন। আইনজীবী ফরমান শেখ বলেন, “এ দিন আদালতের কাছে আমার মক্কেল কোথায় জানতে চাই। বিচারক জানান, ভুলবশত তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের মাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ছেলেকে খুঁজে বের করে হাজির করানোর জন্য।” গত ২২ জানুয়ারি কিশোর অপরাধ সংক্রান্ত একটি মামলায় তাকে জামিন দেন বর্ধমান জুভেনাইল বোর্ড। সাদ্দামের বিরুদ্ধে আরও তিনটি খুনের মামলা থাকা সত্ত্বেও জেল হেফাজতে থাকা ওই অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত এ ব্যাপারে কাটোয়া উপ-সংশোধনাগারের জেলার ও বর্ধমান সংশোধনাগারের সুপারের কাছে রিপোর্ট চান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আদালতের এক করণিকের ভুলে ওই অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের মা আন্নাহারা বিবি জামিনদার হিসেবে রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এসিজেএম পুরো ঘটনাটি বর্ধমানের সিজেএমের কাছে রিপোর্ট করেছেন।
|
দু’টি লরির মুখোমুখি ধাক্কায় পা কাটা গেল এক লরির খালাসির। পরে মারাও যান তিনি। মঙ্গলবার গভীর রাতে বর্ধমান থেকে কলকাতা যাবার পথে পালশিট সেতুর কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার সময়ে চালক কোনওমতে চলন্ত লরি থেকে লাফ দিয়ে পালাতে পারলেও খালাসি গুরুতর আহত হন। তাঁর ডান পা কাটা যায়। মাথায়, বুকেও আঘাত লাগে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে বুধবার বিকেলে তিনি মারা যান। মৃত খালাসির নাম সতীশকুমার রায় (৩০)। বাড়ি বিহারের শিবকুণ্ড গ্রামে। পুলিশ লরি আটক করে। চালকের খোঁজ মেলেনি।
|
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেলেন ইটভাটার মহিলা শ্রমিক। বৃহস্পতিবার কালনার পুরাতনহাট এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম লক্ষ্মীকুমারি ঝা (৩৫)। বাড়ি বিহারের টেটুয়া এলাকায়। তাঁর স্বামী রাম্বালি মাঝি জানান, রাতে তাঁর স্ত্রী ইটভাটা লাগোয়া একটি ঘরে রান্না করছিলেন। আচমকা তাঁর গায়ে লম্ফ পড়ে আগুন লেগে যায়। কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। |