বাজারগুলি কেন জতুগৃহ?
যথেচ্ছ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া-নেওয়া চলে। প্রচুর তার বিপজ্জনক ঝুলছে।
অনুমোদনহীন খাবারের হোটেল। সিলিন্ডার, উনুন ধরিয়ে অবাধে রান্না।
কোনও বাজারেই আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা নেই।
দমকলের গাড়ি ঢোকার মতো রাস্তাও নেই ঘিঞ্জি বাজারগুলিতে।
বহু বাজারে কেরোসিন, ডিজেল, আতসবাজি মজুত রাখা হয় বলেও অভিযোগ।

দমকলের বক্তব্য

উত্তরবঙ্গের বড় বাজারগুলির
সংস্কার জরুরি। ঘিঞ্জি বাজারে
আগুন লাগলে গাড়ি ঢোকানো
মুশকিল। পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা নেই।

জেলা শহরগুলোর মূল বাজারগুলি জতুগৃহ। টিন, কাঠের
দোকান। ঘিঞ্জি রাস্তায় চলা মুশকিল। বাজারগুলির
সংস্কারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সমন্বয়ের ভূমিকা নিক।
 
বিধান মার্কেট, শিলিগুড়ি
স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৩৫০০ দোকান। বাজারের মধ্যে থাকা সরু রাস্তা দখল করে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্র রাখেন। রিকশা চলাচলই দায়। পুরসভার নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করেন না ব্যবসায়ীদের অনেকেই।
ভয়াবহু আগুন ১৯৮০ সালে মার্কেটের এনআর সেক্টর পুরোপুরি ছাই হয়ে যায়। ২০১০ সালে ৬টি দোকান পুরোপুরি ভস্মীভূত। এ ছাড়াও ফি বছর ছোটখাটো আগুনের ঘটনা ঘটেই থাকে।
ব্যবসায়ীদের দোকানের বিদ্যুতের লাইন পরীক্ষা করার জন্য বলেছি। এ ছাড়া আগুন লাগলে প্রাথমিক ভাবে যাতে তা মোকাবিলা করা যায় সেই ব্যবস্থা করার জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে।


নেতাজি পুরবাজার, মালদহ
মোট দোকান ১২০০
আগুন ১৯৯১ সালে আগুনে সব পুড়ে যায়।
২০১২ সালের পুজোয় ফের আগুন লাগে।

যখন বাজারগুলি তৈরি হয়, তখন বাজারে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক ছিল না। এখন পুরবাজারগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে জলের ব্যবস্থা রয়েছে। শীঘ্রই নেতাজি পুরবাজার সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন করা হবে।
দিনবাজার, জলপাইগুড়ি তহবাজার, বালুরঘাট
ছোট-বড় ১২০০ দোকান। বহুদিন সংস্কার হয় না। গ্যাস সিলিন্ডার, উনুন জ্বালিয়ে চা-খাবারের দোকান অনেক।
আগুন লেগেছে দু’বার। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি।
অনেক অনুমোদনহীন দোকান আছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের বাধায় সংস্কার করা যায় না।

প্রায় ২০০০ দোকান সরু রাস্তা, ততোধিক সরু গলি। প্রচুর হকার সেখানেও বসেন।
আগুন ১৯৮৬ সালে বাজার পুড়ে যায়। ১৯৯৪ সালে ফের আগুনে ভয়াবহ ক্ষতি হয়।
ওই বাজারে জল তোলার জন্য ডিজেল চালিত পাম্প জল বসানো হয়েছে। জলাধার তৈরি হবে। তা ছাড়া নতুন ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার সময়ে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

ভবানিগঞ্জ বাজার, কোচবিহার
১০ একর এলাকা জুড়ে ছোট-বড় দোকানের সংখ্যা ৭০০। পাট গুদাম রয়েছে। কোনও জলাধার নেই।
আগুন ২০০৩ সালে বিধ্বংসী আগুনে ৪০০ দোকান ভস্মীভূত হয়।
২০১১ সালে একবার আগুন লাগে। ২০১২ সালেও আগুন লেগেছে।

বাজার সংস্কারের পরিকল্পনা আছে। বরাদ্দ পেলে করা হবে।




মোহনবাটি বাজার, রায়গঞ্জ
১০০০ দোকান। বাজারে ঢোকার চারটি রাস্তাই সঙ্কীর্ণ রাস্তার দুধার দখল করে হকাররা বসেন।
আগুন ২০১২ সালে আগুন লাগে বাজারে।
কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বরাদ্দ করলে শহরের বিভিন্ন বাজারে পর্যাপ্ত জলের পরিকাঠামো গড়া হবে!



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.