যুবদের জন্য শাহবাগ-মন্ত্র বিমানের |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাম যুবদের চাঙ্গা করতে বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে আনলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিতে বুধবার প্রথম বামফ্রন্ট শরিকদের সব ক’টি যুব সংগঠনকে নিয়ে কর্মশালা করেন বিমানবাবু। সেখানে তিনি বাংলাদেশের শাহবাগ আন্দোলনের কথা তুলে ধরে বলেন, ওখানে যুবরা যে ভাবে রাস্তায় নেমেছেন, তা দেখে এখানকার যুবদের শেখা উচিত। বিমানবাবুর ওই পরামর্শ শুনে বাম যুবরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী ৫ মার্চ তাঁরাও শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থনে একযোগে পথে নামবেন। শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থনে এ দিন সিপিআই মৌলালি থেকে কলেজ স্কোয়্যার পর্যন্ত মিছিল করে। মিছিলে দলের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার-সহ রাজ্য নেতারা ছিলেন। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে যাতে বুথ স্তর পর্যন্ত সার্বিক বাম ঐক্য গড়ে ওঠে, তার জন্য বাম নেতৃত্ব জোর চেষ্টা করছেন। এ দিনের কমর্শালা তারই ফলশ্রুতি। পঞ্চায়েত ভোটে বেশি করে যুব প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট। এ দিন কর্মশালায় সে কথা তুলে ধরে বিমানবাবু বলেন, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে যুবদের বড় অংশ বামেদের ভোট দেয়নি। তাই যুব কর্মীদের তৃণমূল সরকারের কাজ এবং বাম আমলে পঞ্চায়েতে কী হয়েছিল, তা তুলে বৈঠকের পরে ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভাপতি আভাস রায়চৌধুরী বলেন, “গত পঞ্চায়েত ভোটে যে সব জেলায় শরিকি ঐক্য হয়নি, সেখানে যুবরা একসঙ্গে সভা করছি।”
|
রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে গেলেন শমীক ভট্টাচার্য। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে বিজেপি-র নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার সময় রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “অসুস্থতা ও পরিবারের দায়িত্ব বাড়ায় শমীক আর সাধারণ সম্পাদক থাকতে চাননি। তাঁকে রাজ্য পদাধিকারীদের মধ্যে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।” শমীকবাবু উপস্থিত থাকলেও দায়িত্ব হ্রাসের কারণ দেখাননি। কিন্তু দলের খবর, রাহুলবাবুর সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই পদ ছেড়েছেন শমীকবাবু। রাহুলবাবু জানান, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার পর রাজনাথ সিংহ প্রথম রাজ্যে আসবেন ১১ মার্চ। বক্তৃতা দেবেন মহাজাতি সদনে।
|
শাসক দল ধর্মঘটী শ্রমিকদের উপরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে বলে রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের কাছে অভিযোগ করলেন বিরোধী শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। ওই প্রতিনিধিদলে বাম শ্রমিক সংগঠন ছাড়াও ছিল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি, বিজেপি-র শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ। স্মারকলিপিতে তারা জানায়, ২০ ফেব্রুয়ারির পরে রাজ্যে এই ধরনের হামলার প্রায় ৩০টি ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসন হামলা আটকাতে ব্যবস্থা নেয়নি। অবিলম্বে মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। |