দল বিরোধী কাজ ও তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে রীতিমত লিফলেট ছাপিয়ে দলের দুই মহিলা কাউন্সিলারের সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন করল সিপিএম। ঘটনাটি টাকি পুরসভার। সিপিএম থেকে বিতারিত ওই দুই কাউন্সিলারের নাম ফাল্গুনি নাথ (১ নম্বর ওয়ার্ড) ও কেয়া ঘোষ বর্মণ (৬ নম্বর ওয়ার্ড)।
টাকির আমলানি লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে এই লিফলেট ছড়োনো হয়েছে। লিফলেটে বলা হয়েছে, এখন থেকে ওই দুই কাউন্সিলারের কোনও কাজের দায় সিপিএম নেবে না। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শক্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখন থেকে ওই দুই কাউন্সিলার আমাদের দলের কেউ নয়। দলবিরোধী কাজ, তৃণমূলের সঙ্গে সর্ম্পক রাখা ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।”
টাকি পুরসভা বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। কিছুদিন আগেই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা এনেছিল বিরোধীরা। সেখানে সিপিএমের দু’জন কাউন্সিলারের ভোট পায় তৃণমূল। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, ওই দুই মহিলাই তৃণমূল পুরপ্রধানের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।
মোবাইল বন্ধ থাকার জন্যই ফাল্গুনি নাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে কেয়া ঘোষ বর্মণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ভোট তো গোপন ব্যালটে নেওয়া হয়েছিল। এখানকার সিপিএম নেতারা কী গণৎকার? আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। এখানকার সিপিএম নেতারা দিনে যা বলেন রাতে তা বলেন না।”
টাকি পুরসভা বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। টাকির পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই দুই কাউন্সিলার এখনও সিপিএমেই রয়েছেন। কয়েকদিন আগেও ওরা সিপিএমের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।” |