ট্রান্সফর্মারে হাত বাদ, ক্ষতিপূরণ ছ’লক্ষ টাকা |
প্রহরী ছিল না ৬০০০ ভোল্টের খোলা ট্রান্সফর্মারে। সেখানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বালকের হাত বাদ যায়। খাস কলকাতার ওই ঘটনায় সিইএসসি-কে ছ’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
ঘটনাটি দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার। এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনার পরেও সিইএসসি প্রথমে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি ছিল না। ডান হাত খোয়ানো বালক সুরজকে নিয়ে তাঁর বাবা জয়প্রকাশ রাওয়াত ২০০৭ সাল থেকে সিইএসসি-র কাছে আবেদন-নিবেদন করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। নিরুপায় হয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
জয়প্রকাশের আইনজীবী তালে সিদ্দিকী জানান, ২০০৭ সালে ছ’বছরের সুরজ ভূকৈলাস মাঠে বল খেলছিল। পাশেই ছিল ৬০০০ ভোল্টের ট্রান্সফর্মার। তাতে কোনও দরজা ছিল না। বলটি ট্রান্সফর্মারের মধ্যে পড়ে যায়। বল তুলে আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সুরজ। তাকে ভর্তি করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা তার প্রাণ বাঁচানোর জন্য ডান হাত কেটে বাদ দেন। সুস্থ হওয়ার পরে ছেলেকে নিয়ে সিইএসসি-র কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন-নিবেদন, দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন জয়প্রকাশ। সিইএসসি জানিয়ে দেয়, কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। তবে চিকিৎসার জন্য তারা ২০ হাজার টাকা দিতে পারে।
বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি দীপক সাহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, সিইএসসি এই ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেবে কি না। সিইএসসি জানিয়ে দেয়, তারা ক্ষতিপূরণ দেবে না। ডিভিশন বেঞ্চ সিইএসসি-র জেনারেল ম্যানেজার ও চেয়ারম্যানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। তার পরেই সিইএসসি-র আইনজীবী আদালতে জানান, ওই সংস্থা তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অবিলম্বে ছ’লক্ষ টাকা দিতে হবে। এবং পুরো টাকাই দিতে হবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে। সুরজের বাবা ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে নিতে পারবেন না। তিনি শুধু মাসিক সুদটুকু তুলতে পারবেন। ছেলে সাবালক হওয়ার পরে সে ওই টাকা পাবে। |