ধনেখালি-কাণ্ডে ধৃত এএসআই-সহ তিন পুলিশকর্মীকে দু’দিন সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত। গত ১৮ জানুয়ারি রাতে ধনেখালির জয়রামবাটির বাসিন্দা, তৃণমূল কর্মী কাজি নাসিরুদ্দিন মোল্লাকে (৪৭) থানার লক-আপে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে শুক্রবার সিআইডি ওই থানার এএসআই সনৎ কর্মকার এবং কনস্টেবল অমিত দে ও সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। শনিবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজের ছোট ট্রাক নিয়ে বেরিয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন। স্থানীয় মদনমোহনতলায় টহলরত এএসআই সনৎ কর্মকার ও কনস্টেবল অমিত দে-র সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। ধৃতদের দাবি, গাড়ির কাগজ না থাকায় তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়। রাতে তিনি শৌচাগারে যান। |
আদালতের পথে ধৃত কনস্টেবল সোমনাথ। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র |
পরে সাড়াশব্দ না পেয়ে, শৌচাগারের ছিটকিনি ভেঙে তাঁর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নাসিরুদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের জানিয়েছেন, বচসার সময় পুলিশের সঙ্গে নাসিরুদ্দিনের ধস্তাধ্বস্তি হয়। নাসিরুদ্দিনকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সিআইডি-র এক কর্তা জানান, নাসিরুদ্দিনের ময়না-তদন্তের রিপোর্টে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের প্রমাণ মিলেছে। কাল, সোমবার হাইকোর্টে এই মামলার কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার কথা সিআইডি-র।
তবে, তিন পুলিশ গ্রেফতারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না কংগ্রেস। তারা প্রথম থেকেই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। এ দিন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন, “আদালত সরকারের কড়া সমালোচনা করায় আসল অপরাধীদের আড়াল করার জন্য এই গ্রেফতার।” |