মাঠ যেমন খারাপ, ফ্লাড লাইটের দশাও তথৈবচ। তবু এই মাঠেই কর্নাটককে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের বাংলা।
শুরু থেকেই এ দিন দুরন্ত ছন্দে ছিলেন দীপেন্দুরা। ম্যাচের একেবারে শুরুতে একটা সহজ সুযোগ পেয়েছিল কর্নাটক। যেটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। এটা ছাড়া অবশ্য কর্নাটকের আর কোনও প্রাপ্তি নেই। গোটা ম্যাচ জুড়ে শুধুই বাংলার দাপট। প্রথমার্ধেই নবীন হেলার গোলে এগিয়ে যায় বাংলা। এর পরও বহু সুযোগ এসেছে। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি দীপেন্দুরা। এই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ অবশ্য কুইলনের মাঠের জঘন্য পরিস্থিতি।
|
জয়ের নায়ক
নবীন হেলা। |
মাঠে খেলার অনুপযোগী নরম ঘাস থাকার কারণে বল আটকে যাচ্ছিল বার বার। যে জন্য ফুটবলাররা বল নিজেদের আয়ত্তেই রাখতে পারছিলেন না। মাঠের পাশাপাশি ফ্লাড লাইটও এত নিম্ন মানের ছিল যে তাঁর আলো মাঠের সব দিকে সমান ভাবে পড়ছিল না। যে জন্য বল দেখতে অসুবিধা হচ্ছিল ফুটবলারদের। তবু এত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও বাংলা যে ফুটবলটা খেলেছে তাতে আশার আলো দেখছেন কোচ মনোরঞ্জন। বললেন, “মাঠের হাল খুব খারাপ। তবু এ দিন আমার ছেলেরা সত্যিই ভাল ফুটবল খেলেছে। আসলে ওরা যত ম্যাচ খেলছে ততই ওদের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ছে। আর কর্নাটকের বিরুদ্ধে সেই বোঝাপড়াটাই কাজে এসেছে। দলের প্রতিটা ফুটবলারই নিজেদের প্রমাণ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।” মাঠের অবস্থা দেখে বিরক্ত সহকারী কোচ সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় বললেন, “মাঠটা ফুটবল খেলার জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। ’’
এ দিকে বিরতির আগেই হেড করতে গিয়ে কপালে গুরুতর চোট পান জগন্নাথ সানা। ওই চোট নিয়েই পুরো ম্যাচটা খেলেন তিনি। পরে স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে চারটি সেলাই পড়ে তাঁর কপালে। তবে এই চোটের তোয়াক্কা না করে, পরের ম্যাচে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলতে মুখিয়ে রয়েছেন জগন্নাথ। অন্য দিকে জয়ন্ত সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে তাঁকে ছাড়াই ২০ জনের দল চূড়ান্ত করে ফেলেছেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য।
এ দিকে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচেই দাপটের সঙ্গে খেলে ৩ -০’এ মণিপুরকে হারিয়েছে পঞ্জাব। পরের ম্যাচে তাই পঞ্জাবকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলা শিবির। |
বাংলা : অর্ণব, বাপি, সৌরভ, সাগ্রাম, সৌমিক, অর্জুন মোক্তার , ফ্রান্সিস, অভিষেক, জগন্নাথ, গোপাল (সৈকত) , নবীন |