|
|
|
|
বাজেট মিটলেই কথা বিজেপিতে |
মোদীর নামে এ বার সায় দিলেন উদ্ধবও
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মোদীকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিল বিজেপির পুরনো শরিক শিবসেনা।
মৃত্যুর ক’দিন আগেও শিবসেনা প্রধান বাল ঠাকরে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজের কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর পুত্র তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, বালাসাহেব যখন সুষমাকে সমর্থন করেছিলেন, তখন নরেন্দ্র মোদী গুজরাত নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য অন্য কোনও নাম আলোচনায় ছিল না। কিন্তু এখন নরেন্দ্র মোদীর নাম নিয়েও কথা হচ্ছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে এনডিএ স্তরে আলোচনা হওয়া দরকার। নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে নতুন নাম নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার বলেই জানিয়েছেন উদ্ধব। আগামী সপ্তাহে সংসদে বাজেট পেশের পরেই দিল্লিতে কর্মসমিতি ও পরিষদের বৈঠকে বসছে বিজেপি। সেখানেও মোদীকে দলের মুখ করা নিয়ে জোরালো দাবি ওঠার সম্ভাবনা। সঙ্ঘ নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই মোদীকে দলের প্রচার কমিটির মুখ করার ব্যাপারে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক দফা আলোচনা সেরে ফেলেছেন। অবশ্য শুধু বিজেপি নয়, মোদীর নাম নিয়ে মতান্তর রয়েছে শরিক দলের মধ্যেও। বিশেষ করে নীতীশ কুমারের মতো নেতা মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার ঘোরতর বিরোধী। অন্য শরিক দল অকালি অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিজেপি মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী করলে তাদের আপত্তি নেই। যে রাজ ঠাকরের সঙ্গে একজোট হয়ে উদ্ধব ভোটে লড়তে চান, সেই রাজও মোদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রেখেই চলেন। মোদীর ‘সদ্ভাবনা মিশন’ থেকে তাঁর শপথ অনুষ্ঠান সর্বত্রই গিয়েছেন রাজ। এই পরিস্থিতিতে যে শিবসেনা এত দিন সুষমার নামে সম্মতি দিয়েছিল, নতুন পরিস্থিতিতে তারাই মোদীকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিল। মোদীকে সমর্থনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উদ্ধব বলেন, “সুষমা যখন এসেছিলেন, তখন মোদীর নাম নিয়ে কোনও আলোচনা ছিল না। কিন্তু এখন জোট শরিকদের সঙ্গে বসে নেতা স্থির করতে হবে। গোটা দেশ এখন এক অস্থির অবস্থায় যাচ্ছে। কেন্দ্রে কোনও নেতা নেই, নীতি নেই। এই অবস্থায় নির্বাচন জয়ের কৌশল নিয়ে বিজেপিকে শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে।” বিজেপিতে মোদী-ঘনিষ্ঠ নেতারা মনে করছেন, এক মাত্র নীতীশ ছাড়া জোটের নেতারা প্রায় সকলেই মোদীর নামে সম্মত হয়েছেন। এর পরে মোদীর নাম ঘোষণার জন্য আর দেরি করা অর্থহীন। একই সঙ্গে তাঁদের যুক্তি, মোদীকে তুলে ধরলেও নীতীশের পক্ষে জোট ছাড়া সহজ হবে না। চাইলেই তিনি বিজেপিকে ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে যেতে পারবেন না। বিহারে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নীতীশের বিজেপিকেও প্রয়োজন বলে দাবি ওই শিবিরের। |
|
|
|
|
|