|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা |
ভরসা বাঁশের সাঁকো |
সেতুবন্ধের প্রতীক্ষায় |
দেবাশিস দাস |
লোহার সেতু ভেঙে পড়ে রয়েছে অনেক দিন। খাল পারাপারের বিকল্প মাধ্যম ছিল অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো। কিন্তু বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে যাওয়ায় এখন সেটিও দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাই বাঘাযতীন স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় টালিগঞ্জ-পঞ্চান্নগ্রাম (টিপি ক্যানাল) খালের উপরের ভাঙা লোহার সেতুটি অবিলম্বে সারানোর দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। |
|
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোহার সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি সামলাতে ভাঙা সেতুটির পাশে একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে লোহার সেতুটি ভেঙে গিয়েছিল। বিপদ রুখতে সেতুর দু’দিকের পথ আটকে দেন এলাকাবাসীই। এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা রণবীর রায়ের কথায়: “বাসিন্দাদের তরফে বহু বার এই ভাঙা সেতুটি সারাইয়ের আবেদন জানানো হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা হয়নি।”
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংযোজিত পুর-এলাকায় বিভিন্ন খালের উপরে এই ধরনের অনেক সেতু আছে। পুর এলাকার মধ্যে হলেও এই সেতুগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সেচ দফতরের। পুরসভা শুধু সেতু কী অবস্থায় রয়েছে তা সেচ দফতরকে জানাতে পারে। বাসিন্দাদের দাবি, বিভিন্ন মহল থেকে সেতুটি সারাইয়ের কাজ হবে বলে অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিনের পর দিন এ ভাবে একটি সেতু বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে থাকায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য: এ ভাবে ফেলে না রেখে ভাঙা লোহার সেতুটির একটা ব্যবস্থা করা হোক। |
|
পুরসভার ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের তারকেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, “সমস্যাটি আমাদের নজরে এসেছে। ওই ভাঙা সেতুটি সারানোর কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে খবর পেয়েছি।” যদিও রাজ্য সেচ দফতর সূত্রে খবর, এই ভাঙা সেতুটি সারাইয়ের জন্য প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। সমস্যাটি চিহ্নিত করা গেলেও চলতি আর্থিক বছরে সেতুটি সারাইয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা যায়নি। আগামী আর্থিক বছরে অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দায়িত্ব পাওয়ার পরে ওই এলাকার খারাপ সেতুগুলি দেখতে গিয়েছিলাম। আগামী আর্থিক বছরে অবশ্যই সেতুটির উন্নয়নে টাকা বরাদ্দ করা হবে।”
|
ছবি: সুব্রত রায় |
|
|
|
|
|