|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা |
বড়িশা |
মৈত্রীর দৌড় |
চন্দন রুদ্র |
মারকাটারি টি টোয়েন্টি ম্যাচ নয়। নয় ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের কোনও ডার্বির লড়াই। তবু এক দৌড় প্রতিযোগিতার আঁচ নিতে সম্প্রতি মেতে উঠেছিল বেহালা। বড়িশার সবেদাবাগান ক্লাব আয়োজিত জমজমাট এই লড়াইয়ে পুরুষ বিভাগে সেরার খেতাব নিয়ে গেলেন পূর্ব মেদিনীপুরের সঞ্জয় ঘোষাল। অন্য দিকে, মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়নের খেতাব পেলেন ইস্টার্ন রেলের ঝুমা খাতুন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাড়ার এই প্রতিযোগিতায় দু’জন কিনিয়ান অ্যাথলেটকেও দৌড়ে অংশ নিতে দেখা গেল।
শান্তি ও মৈত্রীর এই দৌড়ে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়ার মতো বিভিন্ন জেলার প্রতিযোগীরা ছাড়াও ছিলেন ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের মতো ভিন রাজ্যের প্রতিযোগীরা। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুধীর মিশ্র প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। পুরুষরা ১২ কিলোমিটার এবং মহিলারা পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন। |
|
ছবি: অরুণ লোধ |
খালি পায়ে দৌড়ে ৩৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে সঞ্জয় ঘোষাল জিতে নেন পুরুষ বিভাগের চ্যাম্পিয়নের খেতাব। মার্চে চেন্নাইতে এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড প্রতিযোগিতায় নামছেন দূরপাল্লার এই দৌড়বিদ। তাঁর কথায়: “বাবা নেই। মা, ভাই-সহ পরিবারের দায়িত্ব আমার কাঁধে। এক জোড়া জুতোর দামই সাত থেকে আট হাজার টাকা। স্পনসরশিপ নেই। খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।” বাবা আনোয়ার শেখ মাছ বিক্রি করেন। মেয়ে ঝুমা খাতুনের ৮০০ ও ১৫০০ মিটার দৌড়ে একাধিক বয়সভিত্তিক বিভাগে জাতীয় রেকর্ড আছে। নদিয়ার এই মেয়েটি এখন কলকাতা সাইয়ের প্রতিযোগী। ১৬ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে ইস্টার্ন রেলের কর্মী ঝুমা বললেন, “আমার লক্ষ্য ২০১৪-র এশিয়ান গেমসে সোনা জেতা।” বড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ১২ কিলোমিটার দৌড় শেষ করে নজর কেড়ে নিল কোচবিহারের ১২ বছরের সিদ্ধার্থ গোপ। বেঙ্গল রোড রেস অ্যাসোসিয়েশনের সচিব হীরালাল মণ্ডল জানালেন, জাতীয় ক্রশ কান্ট্রিতে বাংলা এখন ভাল ফল করছে। এ বছরই বিহারের ছাপরায় মেয়েরা একাধিক পদক পেয়েছে, গত ১৯ বছরে যে সাফল্য বাংলায় আসেনি। মাত্র ১৩ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে ১৯ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। আয়োজক সবেদাবাগান ক্লাবের যুগ্ম সচিব পল্লব দাস বললেন, “সেই প্রতিযোগিতা আজ ৩০০ জনের বেশি অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে।” |
|
|
|
|
|