ডুমুরজলা
হাতে রইল পাঁচিল
দু’ দশকে শুধুই পাঁচিল!
প্রায় ৫৬ একর জায়গা নিয়ে হাওড়ার ডুমুরজলায় স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হওয়ার কথা ছিল। ১৯৯১-এ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এর শিলান্যাস করেছিলেন। অভিযোগ, দু’দশক পরে খেলার মাঠের পাশে গড়ে উঠেছে ঝুপড়ি, গুমটি, গ্যারাজ। বসে বাজারও। মাস ছয়েক আগে এইচআইটি এখানে পাঁচিল দেয়। অভিযোগ, তার পরে আর কাজ এগোয়নি।
শিলান্যাসের বেদির খুব কাছেই ইটের দেওয়াল, টিনের ছাউনি দেওয়া এক চিলতে ঘর। এখানেই খেলোয়াড়রা পোশাক বদল করেন। এ ঘরেই থাকেন প্রবীণ মালি যুগল বাগ। তাঁর কথায়: “চল্লিশ বছরেরও বেশি এখানে থাকি। ফুটবল মাঠটির দেখাশোনা করতাম। বয়সের ভারে এখন আর পারি না। এখানে ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ খেলতে আসেন। মাঠে নানা খেলা চলে।” রাজ্য চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলিট রুমা বোধক হাজরা বলেন, “দূর থেকে অনেকে খেলতে আসেন। নেই পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা। পরিবেশও ক্রমেই দূষিত হয়ে যাচ্ছে।” স্থানীয় কাউন্সিলর তন্দ্রা বসুর কথায়: “আগের সরকার কিছুই করেনি। সাংসদ অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ তহবিলের অর্থে ডুমুরজলা মাঠের চার দিকে রাস্তা জুড়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
২০১১-র বিধানসভা ভোটের সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে ডুমুরজলায় স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হবে। ক্ষমতায় আসার পরে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র এবং কৃষিবিপণনমন্ত্রী অরূপ রায় এক সঙ্গে ডুমুরজলা মাঠটি ঘুরে দেখেন। মদন মিত্র বলেন, “এখানে স্পোর্টস কমপ্লেক্সই হবে। জায়গাটি এইচআইটি-র। এইচআইটি-র সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।” হাওড়ার মেয়র এবং এইচআইটি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান মমতা জয়সোয়াল বলেন, “আমরাও চাই এখানে শুধু স্পোর্টস কমপ্লেক্স হোক।”
এইচআইটি-র বর্তমান চেয়ারম্যান শীতল সর্দার বলেন, “দেড় বছর হল দায়িত্বে এসেছি। এরই মধ্যে প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ করে পাঁচিল দেওয়া হয়েছে। আমরাও চাই এখানে খেলার মাঠ ছাড়া অন্য কিছু না হয়। ২০১৩-র মধ্যে কাজ শুরু করার চেষ্টা করছি। ব্যয় হতে পারে ১২০০ কোটি। অর্থের পাশাপাশি চাই সকলের সহযোগিতা।”

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.