উপ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে সন্ত্রাসের আশঙ্কা করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। দুই দলের তরফে মালদহের মহকুমাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসারকে ওই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, ভোটের হাওয়া খারাপ বুঝতে পেরেই তৃণমূল প্রার্থীর নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দাকে ভয় দেখানো শুরু হয়েছে। |
ইংরেজবাজারে পথসভা। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়। |
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, “নিবার্চনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। টাকা ও ক্যারাম বিলি হচ্ছে। মানুষদের ভয় দেখিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা চলছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।” একইভাবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “তৃণমূল প্রার্থী টাকা বিলি করে ভোট কিনে জেতার জন্য মরিয়া। সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে ভোটারদের ভয় দেখানো পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল।” তাঁর নামে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “ভোটের দিন তো বুথে বুথে আধা সামরিক বাহিনী তো থাকবে। এখন যা অভিযোগ করা হচ্ছে সব ভিত্তিহীন। আসলে ওঁরাই গোলমাল পাকাবে বলে আগেভাগে নিজেরাই অভিযোগ করা শুরু করেছেন।” তিনি জানান, গত বার ৫২ শতাংশ পেয়ে জিতেছিলাম। এ বারএ বড় ব্যবধানে জিতব। মানুষ আমার সঙ্গে আছে।
এ দিন প্রচারের শেষ দিনে তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে র্যালি করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। কংগ্রেস প্রার্থী নরেন্দ্র নাথ তিওয়ারির হয়ে মালদহ শহরের বিভিন্ন ওর্য়াডের অলিতে গলিতে রিকশায় প্রচার করেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী। পাশাপাশি, সিপিএম প্রার্থী কৌশিক মিশ্র হেঁটে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার শেষ করেছেন। |