টাকার বিনিময়ে এক শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ঘাটাল শহরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার শহরের ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চাইল্ড লাইনের (ঘাটাল শাখা) পক্ষ থেকে ঘাটাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শহরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অস্বস্তিতে পড়েছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার কার্ড (কেন্দ্রীয় প্রকল্প) থাকা সত্ত্বেও শহরের একাধিক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছিল। অথচ, ওই কার্ড থাকলে কোনও রোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। তা জানাজানি হতে প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। সেই তদন্ত এখনও চলছে। তার জের কাটতে না কাটতেই এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ শহরের বাসিন্দারা। অভিযোগ, ঘাটাল শহরের বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে এমটিপি লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে চলছে গর্ভপাতও। সরকারি নিয়মানুযায়ী যা পুরোপুরি বেআইনি।
পুলিশ ও চাইল্ড লাইন সূত্রের খবর, গত ৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার গোপীনাথপুরের এক অবিবাহিত মহিলা শহরের কুশপাতায় এক বেসরকারি নার্সিংহোমে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, ওই মহিলা শিশুটিকে বারবার দেখতে চাইলেও তা দেখানো হয়নি। শিশুটিকে হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানান তাঁকে। এর পর টোল ফ্রি নম্বরে ওই মহিলা চাইল্ড লাইনের দফতরে বিষয়টি জানান। তা জানতে পেরে চাইল্ড লাইনের সদস্যরা ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই এদিন চাইল্ড লাইন সংস্থার সদস্য মীরা দোলই থানায় অভিযোগ করেন। ঘাটাল থানার ওসি বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে নার্সিংহোমের মালিক তপন শাসমল বলেন, “এই রকমের কোনও ঘটনা জানা নেই।” |