নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
চকোলেটের সঙ্গে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে কলেজ পড়ুয়া এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে শিলিগুড়ি থানার কোর্ট মোড় এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম দিলীপ ডোম। তিনি নিউ জলপাইগুড়ির রেল হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তার বাড়ি কোর্ট মোড়ে। তিনি ওই তরুণীর অশ্লীল ছবি তুলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ধৃত যুবককে শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শিলিগুড়ি অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ সুপার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “ওই ঘটনায় তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।”
গত ২৫ ডিসেম্বর ওই তরুণীর ভাই অসুস্থ হয়ে এনজেপির রেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। তিনি পুলিশকে অভিযোগে জানান, ওই যুবক হাসপাতালে তাঁর ফোন নম্বর নেন। এর পর থেকেই তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। গত ২৭ জানুয়ারি কোর্ট মোড় থেকে অভিযুক্ত তাঁকে জোর করে বাইকে বসিয়ে একটি পার্কে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে চকোলেট খেতে দেয়। তা খাওয়ার পর তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়েন। বেহুঁশ হওয়ার পর তাঁকে এসএফ রোডের একটি নার্সিংহোমের পিছনে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে দিলীপ। সে সময় মোবাইলে তাঁর কিছু অশ্লীল ছবি তুলে রাখা হয়। পরে হুঁশ ফিরলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন।
তিনি এর প্রতিবাদ করলে মোবাইলে তুলে রাখা ছবিগুসি দেখিয়ে তাঁকে ভয় দেখানো হয়। তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রাখার জন্য দিলীপ চাপ দেয় বলে অভিযোগ। তিনি ভয় পেয়ে বিষয়টি চেপে রাখেন। দিলীপ যাতে তাঁর সঙ্গে ফের যোগাযোগ করতে না পারে সে জন্য মোবাইল সুইচ অফ করে দেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত তরুণীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে একটি অশ্লীল ছবি দেখিয়ে ফের ভয় দেখালে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ জানালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। |