রাস্তা তৈরি বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
নিম্নমানের পাথর দিয়ে রাস্তা তৈরির অভিযোগ আগেই উঠেছিল। তদন্ত করে সেই কাজ বন্ধ করে দিল প্রশাসন। ঠিকা সংস্থাটিকে ওই পাথর সরিয়ে উপযুক্ত মানের পাথর সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হল। রঘুনাথপুরে ২ ব্লকের কাশীবেড়া গ্রামের ঘটনা। বিডিও উৎপল ঘোষ বলেন, “তদন্ত করে দেখা গিয়েছে রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। তাই নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে। ঠিকাদারকে ওই পাথর সরিয়ে উপযুক্ত মানের পাথর সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” চেষ্টা করেও ওই ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে কাশীবেড়া গ্রামের মধ্যে মোরাম ও পাথরের রাস্তা নির্মাণ করছে নতুনডি পঞ্চায়েত। চলতি মাসেই কাজ শুরু হয়েছিল। অভিযোগ রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাঁরা বিডিও-র কাছে স্মারকলিপিও দেন। বিডিও বলেন, “প্রথম ধাপে মোরাম ও পাথর মিশিয়ে রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে। পরের ধাপে ওই রাস্তাটি বিআরজিএফ তহবিল থেকে ঢালাই করে দেওয়া হবে।” তিনি জানান, ইতিমধ্যেই সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বিআরজিএফ তহবিল থেকে পাওয়া গিয়েছে।
|
দুর্ঘটনায় মৃতদের বাড়ি গেলেন মন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
গয়াতে বাস দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। বৃহস্পতিবার কোটশিলা, ডুরকু, চেকা-সহ কয়েকটি গ্রামে মন্ত্রী যান। কুম্ভমেলা থেকে ফেরার সময় সোমবার বাস দুর্ঘটনায় ন’জন মারা যান। মন্ত্রী বলেন, “মৃতদের মধ্যে যে পরিবারগুলির আর্থিক অবস্থা খারাপ, তাঁদের আর্থিক সাহায্য করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, “রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি দেখা উচিত। কেন্দ্র সরকারের কাছেও আমি ক্ষতিপূরণের আর্জি জানাব।” অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরুলিয়া-বোকারো জাতীয় সড়কের উপর, পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকায় সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মীয়মান ভবনের কাছে দুর্ঘটনায় ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় (৪০)। বাড়ি হুড়া থানার লধুড়কা গ্রামে। এ দিন ট্যাঙ্কারের সঙ্গে তাঁদের গাড়ির সংঘর্ষ হয়।
|
বনধে গরহাজির, শো-কজ কর্মীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
আগাম ছুটি না নিয়ে বুধবার বন্ধের দিন অফিসে অনুপস্থিত থাকা কর্মীদের শো-কজ করতে চলেছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, বন্ধের দিন জেলাশাসকের দফতরে কর্মী হাজিরা ছিল ৯২ শতাংশ। গরহাজির ছিলেন প্রায় ৪৫ জন কর্মী। তাঁদের মধ্যে ২১ জন কর্মী আগাম ছুটি না নিয়েই গরহাজির থেকেছেন। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “বুধবার ছুটি না নিয়ে অফিস কামাই করা সমস্ত সরকারি কর্মীদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হচ্ছে।”
|
ছাত্র ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগে বৃহস্পতিবারও বাঁকুড়া জেলা স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। ছাত্র ভর্তির নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও প্রধান শিক্ষক কিছু ছাত্রকে ভর্তি করছেন এই অভিযোগে মঙ্গলবারও স্কুলে বিক্ষোভ হয়। প্রধান শিক্ষক সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায় এ দিনও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “নতুন করে ছাত্র ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে আগেই মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরেও ছাত্র ভর্তি করা হলে তা নিয়মবহির্ভূত।” |