|
|
|
|
নামেই বন্ধ, জনজীবন স্বাভাবিক |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা দেশ জোড়া দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘটের প্রথম দিনটা বেশ ছুটির মেজাজেই কেটেছিল। দ্বিতীয় দিনের চিত্রটা একেবারই আলাদা।
এ দিন দুই জেলার জনজীবন ছিল আর পাঁচটা দিনের মতো। সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন চলাচল করেছে। স্কুল-কলেজ, দোকানপাট, অফিস-কাছারি ছিল খোলা। রাস্তাঘাটে ভিড়। গঙ্গার ঘাটে যাত্রী। হাটে-বাজারে স্বাভাবিক কেনাবেচা। মফস্সলের সংকীর্ণ রাস্তায় চেনা যানজট। যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে রিকশাওয়ালার চেনা বচসা। তবুও কাজের ফাঁকে, কথার মাঝে বার বার ঘুরে ফিরে আসছিল বন্ধের প্রসঙ্গ। এ দিন কেবল আলোচনাতেই সীমিত থাকল বন্ধ।
সর্বত্র দোকান বাজার খোলা। নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রীর সম্পাদক গোকুলবিহারী সাহা বলেন, “বুধবার বেশিরভাগ দোকানই ছিল বন্ধ। কিন্তু বৃহস্পতিবার চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। বেচাকেনা হচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দে।” তবে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাঙ্ক, বিএসএনএল, বিমা-সহ কয়েকটি দফতরের অফিস গুলি ছিল তালাবন্দি। নদিয়ার সরকারি অফিসগুলিতে অবশ্য বুধবারই কাজকর্ম হয়েছে স্বাভাবিক ভাবে। তবে বৃহস্পতিবার হাজিরার সংখ্যা ছিল প্রায় শত ভাগ। নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “দু’দিন ধরেই খোলা ছিল পুরসভা। বুধবারেই অনেকে এসেছিলেন।”
নিত্যযাত্রীদের ভিড়ে এ দিন জমজমাট ছিল খেয়াঘাট। বুধবার অবশ্য এই চিত্রটা ছিল ভিন্ন। নবদ্বীপ জলপথ পরিবহন সমিতির সভাপতি গোপাল দাস বলেন, “খেটে খাওয়া মানুষ বড়জোর এক দিন কাজ না করে থাকতে পারেন। পর পর দু’দিন অসম্ভব। তাই পেটের টানে লোক কাজে বেরিয়েছেন।” একই কথা হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ সরকারেরও। তিনি বলেন, “বুধবার নতুন করে হোটেলে আবাসিক আসেননি। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে আবাসিক, পর্যটকেরা আসছেন।” দু’দিনের এই সাধারণ ধর্মঘট প্রসঙ্গে নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম সাহা বলেন, “ব্যবসায়ীরা বন্ধ চান না। বন্ধ সমর্থকদের গা জোয়ারির ভয়ে দোকান বন্ধ রাখতে হয়।”
সিটুর মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক তুষার দে অবশ্য বলেন, “এ জেলার বিড়ি শিল্পের ও সিমেন্ট কারখানার শ্রমিকরা বৃহস্পতিবারও ধমর্ঘট পালন করেন।” সংগঠনের নদিয়া জেলা সম্পাদক এস এম সাদি বলেন, “কল্যাণী-সহ জেলার অন্য এলাকার কারখানায় এ দিনও ধর্মঘট পালিত হয়।” তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি মহম্মদ আলি বলেন, “বৃহস্পতিবার এ জেলায় বন্ধ ব্যর্থ।” এ দিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ জানায়। |
|
|
|
|
|