|
|
|
|
|
জ্ঞানেশ্বরী শুনানি |
গরহাজির আইনজীবী, বানচাল শুনানি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হল না জ্ঞানেশ্বরী মামলার। পরপর দু’দিন সাক্ষ্য দিতে এসে ফিরতে হল বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটকে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার আর অসন্তোষ গোপন রাখেননি সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ তপস্বী। বিচারক পার্থপ্রতিম দাসকেও বলতে শোনা যায়, “দেখছেন তো সব। আমি আর কী বলব?”
সম্প্রতি বন্ধ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র মন্তব্য করেছিলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা যায় না। বিষয়টি মানুষের অন্তর থেকে আসতে হয়। অন্তর সায় না দিলে কাজ করার সংস্কৃতি আসে না।” এই মন্তব্যের পরেও যে মানসিকতা বিশেষ বদলায়নি, জ্ঞানেশ্বরী মামলার শুনানিতে তারই প্রমাণ মিলল।
দু’পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকলে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব নয়। তাই বুধ-বৃহস্পতি দু’দিন জ্ঞানেশ্বরী মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হল না। বুধবারই সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অপূর্বকুমার ঘোষের। তিনি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মনোজ মাহাতো ওরফে বাপি’র গোপন জবানবন্দি নিয়েছিলেন। তাই তাঁকে সাক্ষী করেছে সিবিআই। বুধবার সাক্ষ্য দিতে না পেরে অপূর্ববাবু আদালতে আবেদন করেছিলেন, যাতে বৃহস্পতিবার তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুরও করে। কিন্তু এ দিনও আসেননি অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা। তবে নির্দিষ্ট সময়েই এজলাসে ওঠেন বিচারক পার্থপ্রতিম দাস। আদালতে আসেন সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ তপস্বী। অপূর্ববাবু ছাড়াও সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির চালক নির্ভয় কুমার। জেলবন্দি ১৯ জনকে মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। হাজির হন জামিনে মুক্ত বিমল মাহাতোও। তবে গরহাজির ছিলেন অভিযুক্তপক্ষের অধিকাংশ আইনজীবী। একজনমাত্র আদালতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনিও বিচারকের কাছে এসে আবেদন করেন, “সিনিয়ররা কেউ আসেননি। কাল, শুক্রবার সাক্ষ্যগ্রহণ হলে ভাল হয়।”
আজ, শুক্রবার এমনিতেই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্দিষ্ট ছিল। সাক্ষ্য দেওয়ার কথা দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির গার্ডের। পরিস্থিতি দেখে বিচারক জানান, বৃহস্পতিবার যাঁদের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল, শুক্রবার তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|