|
|
|
|
বাস চলল, স্বাভাবিক জনজীবন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
এক দিনেই পাল্টে গেল ছবি। রাস্তাঘাটে যানবাহন চলায় বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বিশেষ কোনও প্রভাবই পড়ল না পূর্ব মেদিনীপুরে।
বুধবার জেলায় পরিবহণ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়ায় ব্যাহত হয়েছিল স্বাভাবিক জনজীবন। দ্বিতীয় দিনে ধর্মঘটের আওতা থেকে পরিবহণকে ছাড় দেওয়ায় সকাল থেকে জেলার অধিকাংশ সড়কে বেসরকারি বাস চলাচল শুরু হয়ে যায়। এ দিন জেলা সদর তমলুক শহর-সহ মেচেদা, কাঁকটিয়া,পাঁশকুড়া, চণ্ডীপুর, নন্দকুমার, কোলাঘাট প্রভৃতি এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বাজারের প্রায় সমস্ত দোকানপাট খোলে। প্রথমে রাস্তায় লোকজন কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর পাঁচটা স্বাভাবিক দিনের মতই চলাফেরা শুরু হয়। অফিস ,স্কুল-কলেজের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ নিত্যযাত্রীদের আনাগোনা বাড়ে। |
এগরার স্বর্ণময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে পরিবেশন হচ্ছে মিড- ডে মিল। |
হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক, তমলুক-পাঁশকুড়া, শ্রীরামপুর-মেচেদা, নন্দীগ্রাম-মেচেদা রুটের অধিকাংশ বেসরকারি বাস চলাচল করে। শুধু হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে বেসরকারি বাস কিছুটা কম ছিল। পূর্ব মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক সুকুমার বেরা বলেন, ‘‘এ দিন জেলার অধিকাংশ রুটে বাস চলাচল করেছে। সকালে দূরপাল্লার বাস চলাচল কিছুটা কম হলেও পরে স্থানীয় রুটের প্রচুর বাস রাস্তায় নামে। সার্বিক ভাবে জেলায় গড়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ বাস চলাচল করেছে। শুক্রবার থেকে বাস চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।” |
তমলুকে বন্ধই জেলার মুখ্য ডাকঘর। |
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে কর্মব্যস্ত এগরা শহর। |
|
জেলা প্রশাসনের অফিস-সহ সমস্ত সরকারি অফিসে কর্মীদের হাজিরা এ দিন ছিল স্বাভাবিক। স্কুল-কলেজগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল কম। তবে জেলায় ব্যাঙ্ক, ডাকঘর, বিএসএনএলের অফিস বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের মুখে পড়েন বহু মানুষ। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মলয় হালদার বলেন, ‘‘সরকারি অফিসে এ দিন উপস্থিতির হার স্বাভাবিক ছিল। জেলায় গড়ে ৯১ শতাংশ কর্মী হাজির ছিলেন। অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আসেনি।”
|
নিজস্ব চিত্র। |
|
|
|
|
|