গৌতম ভট্টাচার্য • চেন্নাই |
সচিন তেন্ডুলকর কি অবশেষে ঘরের মাঠে চূড়ান্ত টেস্ট ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন? হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতীয় ক্রিকেটমহলে এ রকম একটা ধারণা শুরু হয়েছে।
এ জন্যই আরও বেশি করে শুরু হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়া প্রথমে হায়দরাবাদে খেলতে খুব একটা ইচ্ছুক ছিল না। তেলেঙ্গানা আন্দোলন জড়িত বিক্ষোভ এবং নানান সমস্যার কথা তুলেধরেছিলেন টিমের প্রতিরক্ষার সঙ্গে জড়িত লোকজনেরা। শেষমেশ সেগুলো নাকচ হয়ে যায়। কিন্তু অস্ট্রেলীয় খচখচানিচটা থেকেই গিয়েছিল। বৃহস্পতিবারের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ধরে নেওয়া যায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই ব্যাপারটা নিয়ে নতুন করে ভাববে। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট শেষ হওয়ার মাত্র চার দিনের মধ্যে হায়দারাবাদ টেস্ট শুরু হওয়ার কথা। এই অবস্থায় মাইকেল ক্লার্কের টিম কি সেখানে খেলতে যাবে? নাকি ভারতীয় বোর্ড নিজেরাই ম্যাচ সরিয়ে নেবে অন্যত্র? বৃহস্পতিবার রাতে বোর্ডমহলে গুজব ছড়িয়ে যায় ম্যাচ স্থানান্তরিত হয়ে যাচ্ছে। ম্যাচ যদি সরে যায়, তা হলে আপাতদৃষ্টিতে প্রতিদ্বন্দ্বী কলকাতা ও মুম্বই। শুধুই অস্ট্রেলিয়ানদের ওপরে ছেড়ে দিলে কলকাতাই হয়তো নির্বাচিত হবে। ২০০১-এর সেই রুদ্ধশ্বাস টেস্ট ম্যাচের পর কলকাতায় যে আর কখনও ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ হয়নি, তার কথা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা নিয়মিত বলেন। মাইকেল ক্লার্ক ইডেনে গত বছর কেকেআর ম্যাচ খেলতে এসেও বলে গিয়েছিলেন, “ভারত সফরে এখানে টেস্ট ম্যাচ পেলে দারুণ হত। এ রকম দর্শক আর কোথাও নেই।” রাতে যোগাযোগ করা হলে সিএবি-র এক মুখপাত্র বললেন, “বোর্ড ম্যাচ দিলে মনে হয় না আমাদের আপত্তি থাকবে বলে। হায়দরাবাদের ম্যাচ সরতে পারে, এটা নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছিল, মুম্বই বনাম কলকাতাই তখন লড়াইটা হয়েছিল।” তবে এ দিন রাত পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে ম্যাচ যদি সরে মুম্বইয়ের সম্ভাবনাই বেশি। মুম্বইয়ের পক্ষে রয়েছে একটা বাড়তি সেন্টিমেন্ট। সচিন তেন্ডুলকরকে ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচে বিদায় জানানোর সুযোগ। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বয়ে আনা চোদ্দো আনা এলে মুম্বই অবশ্যই ছেড়ে দিতে চাইবে না। |