|
|
|
|
ট্রেনে যুবতীর চিৎকার, পাড়ার ফোন ওসিকে |
শমীক ঘোষ • কলকাতা |
রাতের ডাউন লোকাল ট্রেনের মহিলা-কামরা থেকে ভেসে আসছিল এক যুবতীর চিৎকার। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁকে মারধর করছিল এক দুষ্কৃতী। কামরায় যে দু’এক জন ছিলেন, সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। কিন্তু যুবতীয় চিৎকার কানে যায় রেল লাইনের পাশের এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁরা ফোন করেন রেল পুলিশকে। সেই ফোনের সূত্রেই শেষমেশ ধরা পড়ে দুষ্কৃতী। রেহাই পান যুবতী। উদ্ধার হয় তাঁর মোবাইল ফোন।
বুধবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে পূর্ব রেলের হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার শেওড়াফুলি ও শ্রীরামপুর স্টেশনের মধ্যে। শ্রীরামপুর স্টেশন থেকেই সুরজিৎ কর নামে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। তার বাড়ি শ্রীরামপুরের চাতরা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে চুরি-ছিনতাইয়ের নানা অভিযোগ রয়েছে থানায়।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেয়া রায় নামে বছর চব্বিশের ওই যুবতী শ্রীরামপুরের ভাদুড়িপাড়ার ফ্ল্যাটে থাকেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ শেওড়াফুলি স্টেশন থেকে হাওড়াগামী তারকেশ্বর লোকালের মহিলা-কামরায় ওঠেন তিনি। কিন্তু মাত্র একটি স্টেশন যাওয়ার মধ্যেই যে ওই কাণ্ড ঘটবে তা ভাবতে পারেননি।
শেওড়াফুলি রেল পুলিশ থানার ওসি অমলেন্দু বিশ্বাস জানান, শেওড়াফুলি স্টেশন ছাড়ার পরেই ওই যুবতীর উপর চড়াও হয় ওই দুষ্কৃতী। যুবতী কামরার দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর চিৎকার শুনে রেল লাইনের পাশের এলাকার লোকজন তাঁকে টেলিফোন করেন। তিনি যুবতী আক্রান্ত হওয়ার কথা ফোনে জানিয়ে দেন শ্রীরামপুর স্টেশনে থাকা রেল পুলিশের কর্মীদের। ট্রেন সেই স্টেশনে ঢুকতেই লাফ দিয়ে সুরজিৎ পালানোর চেষ্টা করেও ধরা পড়ে যায়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটিও। বৃহস্পতিবার বিকেলেও ওই ঘটনায় আতঙ্ক কাটেনি কেয়ার। তাঁর চোখে-মুখেও সেই আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট। তবে, তিনি এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। |
|
|
|
|
|