|
|
|
|
বিজয়কৃষ্ণ কলেজ |
পাশের দাবিতে অধ্যক্ষাকে আবার ঘেরাও ছাত্রীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বোনেদের দেখানো পথে হাঁটলেন দিদিরা!
উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে ফেল করায় শিক্ষিকাদের রাতভর ঘেরাও করে রেখে সন্তোষপুরের ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠের একদল ছাত্রী হইচই ফেলে দিয়েছিল। সেটা গত ডিসেম্বর মাসের ঘটনা। বৃহস্পতিবার হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে পার্ট টু টেস্টে অকৃতকার্য একদল ছাত্রী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষাকে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন। তাঁদের হাতে ছিল তৃণমূলের ঝান্ডা, আর দাবি ছিল: টেস্টে পাশ করিয়ে দিতে হবে। বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের বাধায় পাশ করা ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার আবেদনপত্র পূরণ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা।
এ দিন বেলা ১১টা থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা রিনা সেনগুপ্তের ঘরের সামনে তৃণমূলের পতাকা ও পাশ করানোর দাবি লেখা পোস্টার নিয়ে জনা পঞ্চাশেক ছাত্রী বসে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ যায় কলেজে। ভিতরে বিক্ষোভ চলাকালীন কলেজের বাইরে হাজির হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) জেলা স্তরের বিভিন্ন নেতা। ঘেরাও চলে প্রায় চার ঘণ্টা। বিক্ষোভকারীদের দাবি নিয়ে আজ, শুক্রবার কলেজ কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে ঘেরাও ওঠে। |
|
চলছে অধ্যক্ষা ঘেরাও। কলেজে হাজির পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র |
কলেজ সূত্রের খবর, পার্ট টু-র টেস্ট পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে ১১০০ ছাত্রীর মধ্যে ৮০ জন ফেল করেছেন। গত সপ্তাহে ওই পরীক্ষার ফল বেরোয়। টিএমসিপি-র দাবি, কয়েক নম্বরের জন্য পরীক্ষায় পাশ করতে না পারায় গত মঙ্গলবার এক ছাত্রী আত্মঘাতী হন। এ জন্য কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষাকে দায়ী করে এ দিন সকাল থেকে ছাত্রীদের সামনে রেখে ময়দানে নামেন টিএমসিপি-র জেলা নেতৃত্ব। রিনাদেবীর অপসারণ চেয়ে কলেজের গেটে পোস্টার সাঁটা হয়, করা হয় শহিদ বেদি।
এ দিন দুপুরে কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অনুপম ঘোষ বলেন, “গত ৩৫ বছরে কলেজের টেস্টে এত ছাত্রীকে আটকানো হত না। দু’বছর ধরে হচ্ছে কেন?” টিএমসিপি-র ওই কলেজ ইউনিটের সভানেত্রী বর্ষণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “অবিলম্বে সব ছাত্রীকে পাশ করাতে হবে। না হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।” কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক ওঙ্কারসাধন অধিকারী জানিয়েছেন, টেস্টে পাশ-ফেলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কলেজ কর্তৃপক্ষের। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুই বলার বা করার নেই। আর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা জানান, টেস্টে পাশ-ফেলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই। তিনি বলেন, “ছাত্রীদের এই দাবি মানতে হলে তো পরীক্ষাই তুলে দিতে হয়!” |
|
|
|
|
|