|
|
|
|
দলের মেধাকে দিশা দিতে চান রাহুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সহ-সভাপতি হওয়ার পরেই রাহুল গাঁধী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সংগঠনের কাজে এ বার মাকে সাহায্য করবেন তিনি। সেই পথে হেঁটেই দলের রাজ্য সভাপতি এবং নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। আজ তিনি বুঝিয়ে দিলেন, সাংগঠনিক রদবদলে কোনও তাড়াহুড়ো করা হবে না। লোকসভা ভোটের আগে সময় নিয়ে সংগঠন সাজাতে চাইছেন তিনি।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে যেমন সংগঠন দেখতে হতো, তেমনই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার দায়িত্বও ছিল তাঁর ওপর। এখন সেই দায়িত্ব মা ছেলে ভাগ করে নিয়েছেন। সনিয়ার পক্ষে রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে সংগঠন সাজানো সম্ভব হচ্ছিল না। রাহুল এখন সেটা করছেন। আবার কংগ্রেস সভানেত্রী সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের পূর্ণ সময় দেওয়ায় সরকার ও দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিও এখন অনেকটাই কম হচ্ছে। আর হাতে সময় পেয়ে এখন সনিয়া নজর দিয়েছেন সংসদে দলের রণকৌশল রচনা, শরিকি সম্পর্ক রক্ষার মতো বিষয়ে। মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও করছেন। এ দিন সংসদেও তাঁর সক্রিয়তা নজরে পড়েছে। কংগ্রেসের এক শীর্ষ সারির নেতার কথায়, দলে এই রসায়নটারই এত দিন অভাব ছিল।
এ দিন রাহুল জানান, সাংগঠনিক রদবদলের কথা মাথায় রেখে তিনি সকলের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করছেন। তাঁর কথায়, “যত কথা বলছি, ততই উত্তেজনা বোধ করছি। বুঝছি, দলের মধ্যে মেধার অভাব নেই। সেই মেধা ও দক্ষতাকে সঠিক দিশা কী ভাবে দেখানো যায়, সেটাই মূল প্রশ্ন।” |
|
|
|
|
|